পিতার মৃত্যু : ছেলেকে দাফন কাফনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া অমানবিক
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৪:৪৫,অপরাহ্ন ২০ জুন ২০১৬ | সংবাদটি ৬৭৮ বার পঠিত
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী আতিকুর রহমান এর পুত্র মকবুল মিয়া মোবাইল কোর্টে সাজা ও আতিকুর রহমান মারা যাওয়ার পর মকবুল মিয়াকে তার পিতার দাফন কাফনে অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া অত্যান্ত অমানবিক। আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
রক্তের সম্পর্কের পিতামাতা, ভাইবোন, মারা গেলে সাজা প্রাপ্ত আসামীকে পেরোলে মুক্তি দিয়ে দাফন কাফনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু মকবুল মিয়ার বেলায় তা কিছুই করা হয়নি। মৃতপথ যাত্রী পিতার চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তারকে বার বার বলার পরও দায়িত্ব পালন করেননি। বরং ডাক্তার ও নার্সরা মকবুল কে নাজেহাল করে পুলিশ ক্যাম্পে সপর্দ করে। ক্যাম্পে ও পুলিশের হাতে নাজেহাল হতে হয় বলে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এই অমানবিক আচরণ এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
যাদের অবহেলায় আতিকুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ওসমানী মেডিকেলের যেকোনো ঘটনা ঘটলেই ডাক্তার নার্সদের আন্দোলনের হুমকী অমানবিক ও তাদের পেশার শপথের লংঘন।
বিবৃতি দাতারা হলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্ট অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন খাঁন, বাংলাদেশ দূর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শেখ আবদুস সোবহান, কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সফিকুর রহমান সফিক, মহানগর শাখার সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা সভাপতি আফতাব উদ্দিন, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. দিলোয়ার হোসেন, সুরভী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী শিরিন আক্তার চৌধুরী, নূরানী সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা সভানেত্রী ফাতেমা জান্নাত।