জকিগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা সওদাগর সেলিমকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৮:৫৭,অপরাহ্ন ০৫ মে ২০২০ | সংবাদটি ৬১৮ বার পঠিত
গত রোববার (২৬ এপ্রিল) জকিগঞ্জ উপজেলার ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারে সরকারের খাদ্যবান্ধব (ওএমএস) কর্মসূচির দারিদ্রদের দেয়া ১০ টাকা দরের চাল কেলেঙ্কারী ও লুটের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক সওদাগর সেলিমকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, কালিগঞ্জ বাজারে সরকারের খাদ্যবান্ধব (ওএমএস) কর্মসূচির ১০ টাকা দরের চাল কেলেঙ্কারী ও লুটের ঘটনায় ২/৩টি অনলাইন গণমাধ্যম আমাকে জড়িয়ে যেভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা দেখে আমি নিজে হতবাক হয়েছি। আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি পক্ষ ১/২ জন প্রতিবেদককে এই সংবাদ পরিবেশনে প্রভাবিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ছাত্র জীবনে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরবর্তীতে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েক বছর থেকে উপজেলার অন্যতম বৃহৎ বাজার কালিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং বর্তমানেও বাজার পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। বিশেষ করে অত্যন্ত সততা ও নিষ্টার সাথে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ ও কালিগঞ্জ বাজারে জনসমাগম কমাতে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। তাঁর এহেন কার্যক্রমে কতিপয় লোক ইর্ষান্বিত হয়ে সরকারের খাদ্য কর্মসূচী (ওএমএস) এর দারিদ্রদের জন্য প্রদত্ত ১০ টাকা দামের চাল কেলেঙ্কারী ও লুটের ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্ঠা করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা কিছু কিছু অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদকদের ভূল তথ্য দিয়ে তাকে জড়িয়ে মানহানির চেষ্ঠা করেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি প্রকৃত অর্থে এ ঘটনার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয় দাবী করে বলেন, ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের ডিলার খলিলুর রহমান আমার মালিকানাধীন একটি দোকানঘর গোদাম হিসেবে ভাড়া নেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ভাড়াটিয়া হিসেবে এ গোদাম ঘরটি ব্যবহার করে আসছেন। এ সুবাদে ডিলার খলিলুর রহমানের পাওয়ার অফ অথরিটি পেয়ে উপজেলার খাসেরাগ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে জয়নাল আহমদ ডিলার হিসেবে আমার গোদাম ঘরটি ব্যবহার করে আসছিলেন। তাই এ ভাড়াটিয়া ঘর থেকে কয়েক বস্তা চাল উদ্ধারের ঘটনায় আমাকে জড়ানোর কোন সুযোগ নেই। যেহেতু ঘরটি আমার নিয়ন্ত্রণে ছিলনা এবং আমি কোন ডিলার নয়। এখানে পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ আমার এবং আওয়ামী লীগের সুনাম ক্ষুন্ন করতে গণমাধ্যমকে নানা ভূল তথ্য দিয়ে এমন কল্পিত সংবাদ পরিবেশনে উদ্ভুদ্ধ করেছেন। প্রকাশিত সংবাদে আমার এবং আমার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এসব সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে আগামীতে মানহানিকর এমন তথ্য পরিবেশ থেকে প্রিয় সংবাদকর্মী ভাইদের বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি