জকিগঞ্জের গুচ্ছগ্রামের শাকিলের মরদেহ দাফন: আত্মহত্যার প্ররোচণায় ৩ জন জেল হাজতে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০৪:২৪,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০২১ | সংবাদটি ২৫০ বার পঠিত
রহমত আলী হেলালী, জকিগঞ্জ
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প গুচ্ছগ্রামের অনীল বিশ্বাসের ছেলে নওমুসলিম শাকিল আহমদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে
দাফন করা হয়েছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) বাদ এশা গুচ্ছগ্রাম জামে মসজিদের সামনে ইসলাম ধর্মের নিয়মানুযায়ী জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
অপরদিকে শাকিল আহমদকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে তার পরকিয়া প্রেমিকা কানাইঘাট উপজেলার ২নং লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের সিঙ্গারীপার গ্রামের রমজান আহমদের মেয়ে সুহানা বেগম (২১), তার ভাই একই উপজেলার সিঙ্গারীপার গ্রামের রমজান আলীর পুত্র ইমরান আহমদ (২১) ও স্বামী জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের পুত্র দুলাল আহমদ (৩০) কানাইঘাট থানা পুলিশ আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
বিষয়টির নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার এস আই রঞ্জিত দাস জানান, শাকিল আহমদ আত্মহত্যার ঘটনায় তার ভাই ইমরান আহমদ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় হত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আটক ৩ আসামী ছাড়াও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করা হয়।
জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্প গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত মৃত অনীল বিশ্বাসের ছেলে নওমুসলিম শাকিল আহমদ গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত তার বন্ধু দুলাল আহমদের স্ত্রী সুহানা বেগম (২১) এর সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) গুচ্ছগ্রাম থেকে পালিয়ে শাকিল আহমদ সুহানা বেগমকে সিলেট শহরে নিয়ে যায়। স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় দুলাল আহমদ পরদিন শনিবার (৩ এপ্রিল) জকিগঞ্জ থানায় একটি জি.ডি. এন্ট্রি করেন। জকিগঞ্জ থানার জি.ডি. নং ৯৯।
সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে শাকিল আহমদ ও সুহানা বেগমের সন্ধান পেয়ে সুহানার স্বামী দুলাল আহমদ তাদের বুঝিয়ে সুহানা বেগমের খালা কানাইঘাট গোরকপুর গ্রামে রেজিয়া বেগমের বাড়ীতে নিয়ে আসে। রাতে তারা সেই বাড়ির একটি কক্ষে রাত্রি যাপন করে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ভোরবেলা শাকিল আহমদ ঘরের তীরে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে সুহানা বেগমের স্বামী দুলাল আহমদ ও তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন এলাকায় প্রচার করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো শাকিল আহমদের লাশ রেজিয়া বেগমের ঘরের একটি কক্ষের মেঝে থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।