জানাজার নামাজে ইমামতি করেন দারুল উলূম কানাইঘাট মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শায়খে লক্ষীপুরী।
জানাজা পূর্বে বর্ষিয়ান এ নেতার বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়মী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন, জমির উদ্দিন প্রধানের ভাই হাজী নুর উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর শাহাব উদ্দিন।
বক্তারা তাঁর স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা হারিয়েছি আমাদের এক অভিভাবক, এই ক্ষতি সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি দীর্ঘ দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণকর্মী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে প্রধান নামে ভূষিত করেছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জমির উদ্দিন প্রধানকে দলের মনোনয়ন দিলে তিনি সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ভোর ৪টায় উপজেলার কান্দেবপুর নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে, ৫ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে কানাইঘাটের সর্বমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিকে প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা জমির উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, সিলেট-৫ আসনের সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ শাকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লোকমান আহমদ, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, দিঘীরপাড় পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।