নিজস্ব প্রতিবেদক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এবং অতিবৃষ্টির কারণে জকিগঞ্জে সুরমা কুশিয়ারা নদীর অন্তত ৩৯ টি পয়েন্ট দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
এটি জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিই নিলয় পাশা। তিনি বন্যা হওয়ার কারণ হিসেবে বলেন কয়েকটি বাঁধের মাটি নরম থাকায় বৃষ্টিতে কিছুটা সরে গেছে। আর কোথাও কোথাও বাঁধের কাজ চলমান থাকলেও মাটি সময় মতো পাওয়া যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার এসব যুক্তিকে অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তারা বলেন ১ মাস আগের ভাঙন গুলো যথাসময়ে মেরামত বা সংস্কার করা হলে হয়তো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।
ভয়াবহ বন্যায় মানুষের মধ্যে চরম হতাশা, উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। রান্না করতে না পারায় শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করছেন বানভাসি মানুষেরা। গো-খাদ্যের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বন্যার্ত অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই হয়েছে। কেউ সম্পদের মায়ায় ঘরে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। চারদিকে পানি হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোথাও যেতে পারছেন না। এসব বানভাসি মানুষকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে স্ব স্ব এলাকার বিত্তবান, সামাজিক ও মানবিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আতাউর রহমান জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান জকিগঞ্জে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ৩০ মে. টন চাল ও নগদ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। বলেন এবারের বন্যায় ১৫৬ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম গুলোর তথ্য প্রেরণ করা হচ্ছে।