ঈদের আগে মসজিদের জন্য ১২২ কোটি টাকা অনুদান প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫২:৩৫,অপরাহ্ন ২১ মে ২০২০ | সংবাদটি ৭৭৬ বার পঠিত
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে ঈদের আগে সারাদেশের মসজিদগুলোর জন্য ১২২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন দেশের প্রতিটি জেলায় অবস্থিত সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত সব মসজিদ এই অনুদানের অর্থ পাবে।
বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা অনুদান পাওয়ার কথা জানানো হয়।
ছোঁয়াচে রোগ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যে গত মার্চের শেষ দিক থেকে মসজিদগুলোতেও মুসল্লিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে রোজা শুরু হলেও মসজিদে মুসল্লি ঢোকার সুযোগ ছিল না; যদিও পরে তা খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে জামাত চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
বাংলাদেশে প্রায় সব মসজিদেই ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমদের বেতন-ভাতা হয় নামাজ পড়তে যাওয়া মানুষের দান করা টাকা থেকে। আর রমজান মাস এলে সেই টাকা ওঠে কয়েকগুণ বেশি। সেই সঙ্গে যোগ হয় তারাবি বাবদ মানুষের দান। রোজার এই আয় দিয়েই চলে বছর।
এবার করোনাভাইরাস সঙ্কটে সেই দানে ঘাটতি পড়ায় মসজিদ পরিচালনায় যুক্তরা সরকারের কাছে ‘প্রণোদনা’ প্রত্যাশা করছিলেন। তারমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হল।
বিভিন্ন জেলায় পাঠানো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের চিঠিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মসজিদের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে ৫ হাজার টাকা হারে অনুদান প্রদানে অনুমোদন প্রদান করেছেন।
“এর পরিপ্রেক্ষিতে সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত দেশের সকল জেলায় অবস্থিত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩টি মসজিদের প্রত্যেকটির অনুকূলে ৫ হাজার টাকা হারে ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা কার্যালয়ের পরিচালক/উপ-পরিচালকের ব্যাংক হিসেবে প্রেরণ করা হল।”
এই অনুদানের অর্থ মসজিদগুলোকে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকার পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিরীক্ষার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। ১৫ জুনের মধ্যে তা কেন্দ্রে জানাতেও বলা হয়েছে।
অনুমোদিত তালিকায় কোনো ‘প্রকৃত’ মসজিদের তথ্য বাদ পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়নসহ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য মহাপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে।
সুত্র. বিডি নিউজ