জকিগঞ্জে হিজড়া আতঙ্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৫:৪৬,অপরাহ্ন ১৩ আগস্ট ২০২১ | সংবাদটি ৩৬০ বার পঠিত
- মোর্শেদ লস্কর জকিগঞ্জ, জকিগঞ্জের আটগ্রাম এলাকায় আতঙ্কের নাম এখন হিজড়া! জকিগঞ্জ উপজেলার ৩ নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম-জকিগঞ্জ সড়কের একটি বাড়ীতে হিজড়ারা ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে। প্রতিদিন সকাল হতেই বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে হিজড়ারা এ অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ও এলাকায়। বাজার বা রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ী থামিয়ে চলে চাঁদাবাজি। তাও শেষ নয় দাবীকৃত চাঁদা না পেলে গাড়ীর যাত্রীদের উপর চলে নির্যাতন। অশালীন ভাষায় গালাগালী, কাপড় খুলে বিবস্ত্র অবস্হায় খারাপ আচরণ! শাহবাগ, সড়কের বাজার, আটগ্রাম, কালিগঞ্জ বাজার ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে চলে হিজড়াদের চাঁদাবাজি। গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের ভয় দেখিয়ে টাকা অথবা চাল দাবী করা হয়। চাহিদামত চাল না দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং খারাপ আচরণ। উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আতিক আহমদ বলেন, আটগ্রাম ষ্টেশনে হিজড়া আসার পর তাদের আড্ডার কারণে ষ্টেশনে অবস্হান করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের ধার্মিক এলাকায় এইসব কোনোভাবেই মানায় না। ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের গোটারগ্রামের নাসিম আহমদ, বদরুল হক, শফি মিয়া বলেন, প্রতিমাসে ৩/৪ বার হিজড়ারা আমাদের বাড়ীতে আসে। অনেকে হিজড়াদের ভয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায় না। মানিকপুর ইউনিয়নের দর্গাবাহারপুর গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসাইন বলেন, হিজড়াদের কারনে আমরা অতিষ্ট। এরা মানুষের মান সম্মান কিছুই বুঝে না, যা ইচ্ছা তা করে। চাহিদামত কিছু না পেলে মানুষের ইজ্জত নষ্ট করার চেষ্টা করে। এদের বিষয়ে ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলকার নাইন লস্করের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় বলেও কোনো লাভ হয়নি। মানুষ এদের কারনে অতিষ্ট। জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এদের বিষয়ে শুনেছি তবে খোঁজ খবর নিব।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সুমি আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন, সমন্বয় সভায় আমি বলেছি এরা আমাদের তালিকাভুক্ত কোনো হিজড়া নয়। এরা অন্য জায়গা থেকে এসেছে। আমি জকিগঞ্জ থানার ওসিকে বলেছি হিজড়ারা যেন কাউকে বিরক্ত না করে। তবে আমাকে একটু সময় দেন দেখি কি করা যায়।