সেহরি আল্লাহ ও বান্দার দান-প্রতিদানের সময়
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:১২:২১,অপরাহ্ন ২০ জুন ২০১৬ | সংবাদটি ৯৪৭ বার পঠিত
সেহরি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি সময়। এ সময় জাগ্রত হওয়ায় আল্লাহর পছন্দনীয় অনেক ভালো কাজ করার সুযোগ থাকে। যেমন তিনি মুমিনদের প্রশংসায় বলেছেন :
وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
অর্থ : ‘তারা শেষ রাতে (সেহরির সময়) ক্ষমা প্রার্থনা করে’। (সূরা জারিয়াত: ১৮)
তিনি এ আয়াতে ওই সকল জান্নাতবাসী মানুষদের প্রশংসা করেছেন যারা শেষ রাতে দোয়া-প্রার্থনা করে ও ক্ষমা চায় আল্লাহর কাছে। এর মাধ্যমে তারা যে জান্নাত লাভ করবে এর সুসংবাদও দেয়া হয়েছে। সেহরির সময়টা এমন একটি সময় যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দুনিয়ার নিকটতম আকাশে অবতরণ করেন। যে সকল মানুষ তখন তার প্রতি আগ্রহী হয়ে সালাত ও দোয়া-প্রার্থনা করে তিনি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :
ينـزل ربنا تبارك وتعالى كل ليلة إلى السماء الدنيا حين بيقى ثلث الليل الآخر، فيقول: من يدعوني فأستجيب له، من يسألني فأعطيه، من يستغفرني فأغفرله. رواه البخاري ومسلم
অর্থ : ‘আমাদের মহান প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তখন মানুষদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যে আমার কাছে দোয়া করবে আমি তাতে সাড়া দেব, যে আমার কাছে চাইবে আমি তাকে দান করবো ও যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করবো’। (বর্ণনায়: বোখারি ও মুসলিম)
অতএব সেহরির সময় হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি দান-প্রতিদানের সময়। এ সময় সে ব্যক্তিই তার সামনে হাজির হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন তিনি আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্ব ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন। যিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজের নিয়তকে বিশুদ্ধ করেছেন। অনেক মানুষ এমন আছেন যারা এ সময় জাগ্রত হয়ে খাওয়া-দাওয়াসহ অনেক কাজ সমাধা করেন। কিন্তু দোয়া- প্রার্থনা. ইস্তিগফার, তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার সুযোগ করে নিতে পারেন না।
শেষ রাতের সালাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :
يا أيها الناس أفشوا السلام، وأطعموا الطعام، وصلوا الأرحام، وصلوا بالليل والناس نيام، تدخلوا الجنة بسلام.
অর্থ : ‘হে মানব সকল! তোমরা সালামের প্রচলন কর। অন্যকে খাবার দাও। আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ আর রাতে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন তোমরা সালাত আদায় কর। তাহলে শান্তির সাথে জান্নাতে যেতে পারবে’। (বর্ণনায় : তিরমিজি)