কওমি মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণে কমিটি করা হয়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৮:০৭,অপরাহ্ন ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ১১৪৮ বার পঠিত
‘সরকার কওমি মাদরাসা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এ জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সিলেবাস আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার সংসদের নবম অধিবেশনে কওমি মাদরাসা নিয়ন্ত্রণ ও এমপিওভুক্ত সম্পর্কিত ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একথা জানান।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন করছি শিক্ষামন্ত্রীকে, জবাব দিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী। কাকে কী বলছি।’
ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘কওমি মাদরাসায় জঙ্গি তৈরি হয় না। জঙ্গি যারা ধরা পড়েছে তারা সবাই ইঞ্জিনিয়ার।’
স্পিকার এ সময় কাজী ফিরোজ রশীদকে প্রশ্ন করতে বললে, তিনি বলেন, ‘মাদরাসাগুলোর জন্য যেসব সোলার আনা হয়েছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাদরাসায় সিসিটিভি স্থাপনের সিদ্ধান্ত সরকারের আছে কিনা।’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা মানুষ হত্য করেছে তারা আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের। আর ওরা শিক্ষিত। কওমি মাদরাসার নয়। সিসিটিভি লাগাতে বেশি টাকা খরচ হয় না। সরকারের পরিকল্পনায় আছে।’
মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার এলাকায় একটি পাহাড়ের উপরে কওমি মাদরাসা থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। চট্টগ্রাম পাহাড়ের উপর মাদরাসায়ই জঙ্গি তৈরির কারখানা ছিল। তার মানে এই নয়, সব কওমি মাদরাসায় জঙ্গি তৈরি হচ্ছে।’
জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের ৪১ হাজার ৮০১টি অবসর আবেদন নিষ্পতিতে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। আবেদন নিষ্পত্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, অবসর সুবিধা বোর্ড প্রতিষ্ঠার সময় অফিস পরিচালনা ব্যয় মেটাতে সরকার ৮৯ কোটি টাকার তহবিল দেয়। প্রবিধান-৯ (১) অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও থেকে কর্তনকৃত ৪ শতাংশ হারে চাঁদার ওপর ভিত্তি করে অবসর সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
এ চাঁদা নেয়া হচ্ছে ২০০৫ সাল থেকে কিন্তু অবসর সুবিধা দেয়া হচ্ছে ১৯৮০ সালে ১ জানুয়ারি থেকে। বর্তমানে মাসিক চাঁদা ৪ শতাংশ হারে মাসে আয় হয় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। ফলে প্রতিমাসেই ঘাটতি বাড়ছে। বছরে ঘাটতি প্রায় ২২৮ কোটি টাকা।
ইতোপূর্বে অবসর সুবিধার জন্য আবেদন নিষ্পত্তিতে নির্ধারিত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয়নি। বর্তমানে এ বিষয়টি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতার আসার পর জমা হওয়া আবেদন দাখিলের তারিখের ক্রমানুসারে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে এসব আবেদনগুলো থেকে দাখিলের ক্রমানুসারে ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত সেগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ- ২ আসনের সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সংসদে জানান, দেশের যে সব উপজেলায় সরকারি কলেজ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই সে সব উপজেলায় একটি করে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের আছে।’
এ জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি তথ্য সংগ্রহ করছে। একই সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে। কমিটির সুপারিশ ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর স্থানীয় চাহিদা প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবাতার নিরিখে দ্রুত পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সুত্র: বাংলা মেইল