পূর্ব সিলেটের সবচেয়ে বৃহৎ শিল্প-প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে জকিগঞ্জে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২১:০৫,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ৪৯৬১ বার পঠিত
এনামুল হক মুন্না: জকিগঞ্জ নয় পূর্ব সিলেটে এই প্রথম এমন শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। ১একর ৪৭শতক জায়গার উপর ১৩টি বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে। সব কিছু্ই এগিয়ে চলছে। অসমাপ্ত কাজ শেষ হলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৭সালের প্রথমার্ধে শিল্প-প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জান্নাত প্লাস এন্টারপ্রাইজ’ চালু হবে। এ শিল্প-প্রতিষ্ঠান চালুর মাধ্যমে প্রায় হাজারো বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। আর অগ্রাধিকার পাবেন জকিগঞ্জের যুবকেরা।
এমন শিল্প-প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নানা ভাবে অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া জকিগঞ্জ কিছুটা হলেও এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ব্যবসাযীরা। কেউ কেউ বলেছেন এটি বিরাট উদ্যোগ। এমন উদ্যোগ আরো কয়েক বছর আগে নেওয়া উচিত ছিলো। জকিগঞ্জের অনেক ব্যক্তি রাজধানী ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ প্রবাসে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তারা জকিগঞ্জে কোন কিছু করার উদ্যোগ নেননি। যেখানে উদ্যোগ নেওয়া হলে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হতো। বেকারত্ম অনেকটা হ্রাস পেতো। কর্মসংস্থান হলে তাদের পরিবারও হতো স্বচ্ছ্বল। এসব চিন্তা থেকে দূরে রয়েছেন ঐসব শিল্প মালিকেরা।
কিন্তু ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহনকারি নূরুল ইসলাম চৌধুরীগংদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা শিল্প-প্রতিষ্ঠান জান্নাত প্লাস এন্টারপ্রাইজ গড়ে তুলায় দীর্ঘদিনের কাঙ্কিত ও প্রত্যাশিত একটি দাবি বাস্তবায়নের পথে জকিগঞ্জকে আরো অগ্রসর করবেন।
কালিগঞ্জ বাজারের পশ্চিমে মেইন রোডের সাথে অবস্থিত জান্নাত প্লাস এন্টারপ্রাইজের অন্যতম মালিক আলাউদ্দিন চৌধুরী জকিগঞ্জ বার্তাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মরিচ, ধনিয়াসহ সকল প্রকার মসলা, ময়দা ও কয়েল (কালো) লাকড়ির মিল ও চালের অটোমিল বসানো হবে। অটোরাইসমিল থেকে চাল বের হবে। তোষ থেকে কয়েল লাকড়ি তৈরি করা হবে। বিভিন্ন জাতের মসলা তৈরি করা হবে। সেগুলো সিলেট বিভাগসহ সারাদেশে বাজারজাত করা হবে। সব কিছু তৈরি ও সরবরাহের জন্য কয়েকশ শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বলেন আমরা পাঁচ ভাই এ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। আমি পরে বড় দু’ভাই নূরুল ইসলাম চৌধুরী-নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও ছোট দু’ভাই মালেক আহমদ চৌধুরী-জামাল উদ্দিন চৌধুরী তারা জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদিআরব, দক্ষিণ কোরিয়ায় এসব বিষয়ে কাজ করেছেন। সেসব দেশে চাল, মসলা, ময়দা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেছেন তারা। তাদের লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রিয় জন্মভূমিতে এমন শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলার উৎসাহ-উদ্দীপনা পেয়েছেন। শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে জকিগঞ্জের অনেকেই আমাদেরকে ব্যাপক উদ্ধুব্ধ করছেন। আগামী বছরের (২০১৭) জানুয়ারির শুরুতেই শিল্প-প্রতিষ্ঠান চালু হবে ইনশাল্লাহ। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে বলে তিনি জানান।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন তেল, বিশুদ্ধ পানিসহ আরো কিছু প্রডাক্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। আশাকরি ২০১৭সালের শেষে চালু করা যাবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।