জকিগঞ্জে মাঠ কৃষকদের ব্যতিক্রমী স্কুল; ৬শ বিঘা পতিত জমিতে বুরো চাষ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৭:৫৪,অপরাহ্ন ১০ মার্চ ২০১৬ | সংবাদটি ১১১৭ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: উন্নত পানি ব্যবস্থাপনায় কৃষক-কৃষানীর মাঠ স্কুলের ২৫জনকে প্রযুক্তিগত ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত বছরের ১৫ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় এ প্রশিক্ষণ। তাদেরকে পানি ব্যবস্থাপনার উন্নত পদ্ধতি এ ডব্লিউডি, ফিতা পাইপ, ডিপসেট, হ্যান্ড সাও্য়ার, বারিড পাইপ, কাচানালা ইত্যাদি প্রযুক্তির বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষক ছিলেন জকিগঞ্জ ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার ধীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস ও কৃষি প্রকৌশলী মুখলেছুজ্জামান তালুকদার। সমাপনী অনুষ্ঠান আড়ম্বরপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
রহীমখারচকের আখড়া প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত স্কুলের কৃষক-কৃষানীদের মাঝে ভাতা ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ইতোমধ্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় ৮মার্চ মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সিলেটের প্রকৌশলী মুখলেছুজ্জামান তালুকদার। অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) পরেশ চন্দ্র দাস, উপ-সহকারি কর্মকর্তা ধীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, হীরালাল বিশ্বাস, সাংবাদিক এনামুল হক মুন্না, ইউপি সদস্য ফাহিম আহমদ, কৃষক হাজী মজির উদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে কৃষকদের সুখ, দু:খের কথা শুনেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত দায়্ত্বি)।
জকিগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ জানান, গত বছরের নভেম্বরে পাওয়ার পাম্প মেশিন নিয়ে আড়াইয়াখালের উপর স্থাপন করি। প্রায় দেড় কি: মি: কাচানালার মাধ্যমে বোরো সেচের চাষ শুরু করা হয়। একটি ট্রাক্টর, ৫টি পাওয়ার টিলার দ্বারা প্রায় ৬শ বিঘা জমি চাষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এতে জকিগঞ্জ, সুলতানপুর, খলাছড়া ইউনিয়নের প্রায় দু’শ কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। প্রকৃত পক্ষে পানির ব্যবস্থা ও সরকারি সহযোগিতা পেলে কৃষকরা আরো এক হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ করতে পারবেন। মূলত কৃষকরা স্বাবলম্বী ও কর্মঠ এবং পতিত জমি গুলো কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে এ প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়েছে। আমার পরিষদ ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বলেন উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতা আমাকে প্রেরণা দিয়েছেন। পার্সিং (পাখি বসার ডালপালা পোতা) শতভাগ জমিতে রাখা হয়েছে পোকা দমনের জন্য। প্রতি বিঘায় কমপক্ষে ১৪মন ফলন হবে বলে আশা করছি। আবাদকৃত ফসলের যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ৫০লক্ষ ৪০হাজার টাকা হবে এমন ধারণা দেন তিনি।