জকিগঞ্জ গুণীজন সংকর্ধনা পরিষদের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৭:৩৮,অপরাহ্ন ২০ মার্চ ২০১৬ | সংবাদটি ৯৭৯ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশকে একসময় তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলা হতো। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। বাংলাদেশে এই অগ্রগতিতে বিশ্ববাসী এখন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে।
তিনি গতকাল শনিবার সিলেটে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। জকিগঞ্জ গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ এর উদ্যোগে উপজেলার বিশিষ্ট ৫ জন জীবিত ও ৩ জনকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শহরতলীর খাদিমনগরস্থ বিআরডিটিআই অডিটরিয়ামে আমেরিকা প্রবাসী জকিগঞ্জবাসীর সহযোগিতায় জকিগঞ্জ গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
জীবিত ৫ মরণোত্তর সংবর্ধনাপ্রাপ্ত
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ডীন ও জকিগঞ্জ গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর এম এ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছাড়াও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর কবীর চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, রাজনীতিক লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারি পরিচালক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল খালিক তাপাদার, গিয়াস আহমদ মজুমদার, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদের সহ-সভাপতি এম এ মালেক চৌধুরী, ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নূরুল ইসলাম, ইছামতি ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল জালাল আহমদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহতাব আহমদ তাপাদার মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাব্বির আহমদ, সাজ্জাদ মজুমদার বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো: কুতুব উদ্দিন, ব্যাংকার মো মাহমুদুর রাহমান, খায়রুল আলম, কবি মুহিত চৌধুরী, অ্যাড. সৈয়দ আশরাফ । মরণোত্তর সংবর্ধনাপ্রাপ্ত
হাফিজ আহমদ মজুমদার তার বক্তৃতায় আরও বলেন, শিÿার মাধ্যমে মানুষ দারিদ্র থেকে বেরিয়ে আসে। শিক্ষা ছাড়া মানুষ তার সৃষ্টিকর্তাকে চিনতেও পারে না। তবেই সে জানতে পারে তার সৃষ্টিকর্তা সীমাহীন সম্পদের মালিক। এর মাধ্যমে সে পৃথিবীতে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করতে পারবে।
তিনি বলেন, সমাজে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষা। এই কথা ভেবে আমি শিক্ষার জন্য যতটুকু পারছি করছি। মানুষকেও শিক্ষার জন্য সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসার আহবান জানাই। সাহায্যের জন্য কেবল টাকার প্রয়োজন হয় না। একটি অসহায় শিশুকে কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য সহযোগিতায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, জকিগঞ্জের মানুষ বাংলাদেশের মধ্যে এখনও পশ্চাৎপদ। দেশে শিক্ষায় যে বিপ্লব শুরু হয়েছে, তাতে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। তবে, এখন শিক্ষায় যে বিপ্লব শুরু হয়েছে তাতে জকিগঞ্জের ছেলে-মেয়েরাও অনেক এগিয়েছে, অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রার ট্রেনে জকিগঞ্জবাসীকেও যাত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তৃতায় রসায়নবিদ প্রফেসর ড. মুহিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, বিদ্যুৎসহ সব ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করেছে। তিনি বলেন, জকিগঞ্জ একসময় পিছিয়ে ছিল, এখনও এ অঞ্চল অবহেলিত হলেও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সকলকে কাজ করা এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, চাহিদা থাকতে হবে, তবেই সেটা পাওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেটের ডাকের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল হামিদ মানিক। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুখলিছুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুস ছবুর ও প্রভাষক বাছিত ইবনে হাবিব। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।