ইছামতি হাইস্কুলে বখাটে শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত, ভাংচুর
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৮:১৯,অপরাহ্ন ২৪ মার্চ ২০১৬ | সংবাদটি ৪০৪৯ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: জকিগঞ্জের ইছামতি উচ্চ বিদ্যালয়ে একদল উশৃংখল-বখাটে শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিমকে লাঞ্চিত ও দরজা-জানালা ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্চিত হওয়া প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিম জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান, ৯ম শ্রেণীর তারেক নামে এক শিক্ষার্থীকে নানা অভিযোগে গত ২১মার্চ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সে বিদ্যালয়ের শৃংখলা কিছু্ই মানে না। যা ইচ্ছা তাই করে। এর জের ধরে আজ সকালে স্কুলের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে আমাকে লাঞ্চিত করে। তারা দরজা-জানালা, আলমিরাও ভাংচুর করে। দু’টি আলমিরা ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সকল নথিপত্র নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে পুরো স্কুল তছনছ করেছে তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মো: রায়হান জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান, সুরাহা করতে শুক্রবার এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো।
স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুস ছামাদ চৌধুরী জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান, এ শিক্ষার্থী যে কাজ করেছে, সেটা পশুর মতো কাজ করেছে। আমার কাছে বরখাস্তের বিষয়টি জানালে তার বাবাকে নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু বলে আপনি সমাধান দেন, সেখানে বাবাবে আনবো কেনো। মাতারগ্রামের ময়নুল ইসলামের পুত্র তারেক মূলত উশৃংখল ও বেয়াদব শিক্ষার্থী। সে স্কুলের একজন শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেছে। আরো অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। সে কারণে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন প্রধান শিক্ষক।
লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদ আহমদ চঞ্চল জকিগঞ্জ বার্তাকে বলেন, এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম জকিগঞ্জ বার্তাকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পুলিশও সেখানে রয়েছে। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুস ছালাম জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান, ইউএনও স্যার আমাকে পুলিশ নিয়ে যেতে বলেছেন। সেখানে যাওয়ার সকল শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।