জকিগঞ্জে ৫৭৪০হেক্টর বোরো ধানের বাম্পার চাষ; পানির নীচে অনেকাংশ; দু:শ্চিন্তায় কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৪:৪২,অপরাহ্ন ২৯ এপ্রিল ২০১৬ | সংবাদটি ১৫৭৭ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: এবারে জকিগঞ্জে ৫হাজার ৭শ ৪০হেক্টর (৫৭৪০) বোরো ধানের বাম্পার চাষ করা হয়েছে। তবে অনেকাংশ ফষল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন ভয়াবহ বন্যার আশংকা প্রচার করে। এতে তড়িগড়ি করে অনেকেই আধাপাকা ধান কাটেন। গেল কয়েকদিনের বিরামহীন বৃষ্টিপাতের ফলে জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে অনেক বোরাে ধান পানিতে তলিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জকিগঞ্জ বার্তাকে জানায় ১০৫০হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে। আর মোট চাষের ৬০ভাগ ধান কৃষকেরা ঘরে তুলেছেন। ব্রি ২৮, ২৯, দেশী খইয়া বোরো ও হাইব্রীড চাষ করা হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে গড়ে বিঘা প্রতি ১৯-২০মন ধান হতো। বর্তমানে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার কিছুটা নীচে অবস্থান করছে। উপ সহকারি কৃষি অফিসার হীরালাল রায় ও নজরুল ইসলাম জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান ঝড়-বৃষ্টি ও শিলায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তথ্য ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের চাইতে এবার অনেক বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় জকিগঞ্জ-রতনগঞ্জ সড়কের পাশের হাওরে কোমর পানিতে ধান কাটছেন কৃষকেরা। সড়কের পাশে ধান মাড়াই দেওয়া হচ্ছে। সোনালী ধান ঘরে তুলতে কৃষকেরা দিনরাত ব্যস্ত রয়েছেন। ধানের জমি ও রাস্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে শংকিত কৃষকের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ও স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক অপরিকল্পিত স্লুইস গেইট নির্মাণ করে। সুরমা নদীর মুখে মরইরখালের স্লুইস গেইট খুলে দেওয়া হয়। আটগ্রাম নালুহাটি স্লুইস গেইট, কাকুরা স্লুইস গেইট দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করছে।