উপকূলে আঘাত হেনেছে রোয়ানু
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩৬:২৪,অপরাহ্ন ২১ মে ২০১৬ | সংবাদটি ৬৪৯ বার পঠিত
উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। উপকূলে ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু ঢেউ উঠছে। ৮০ কিমি গতিবেগে বইছে ঝড়ো হাওয়া।
শনিবার ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিন ১৮-তে জানানো হয় দুপুরের দিকে রোয়ানু আঘাত হানতে পারে। তবে দুপুরের আগেই এটি চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত আঘাতের তীব্রতা পরিলক্ষিত হয়নি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস বইছে, সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাত। এরই ফলে সীতাকুণ্ডে জঙ্গল ছলিমপুরের কালাপানিয়া পাহাড় এলাকায় ঘরের ওপরে গাছ ভেঙে পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভোলা ও পটুয়াখালীতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মূলত শুক্রবার মাঝরাতে উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে তখন থেকে উপকূল অঞ্চলসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এই বৃষ্টিই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ঘরচাপায় নারীসহ দু’জন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘরে গাছ পড়ে মা-ছেলে এবং পটুয়াখালীতে একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ৮০ জন। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকশ ঘরবাড়ি।
ভোলায় নিহতরা হলেন-উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শশিগঞ্জ গ্রামের নয়নের স্ত্রী রেখা বেগম ও মো. মফিজের ছেলে আকরাম। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কাজল বেগম ও তার ১০ বছরের শিশু বাবু এবং পটুয়াখালীর দশমিনায় নয়া বিবি নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া রাডার স্টেশনের কর্মকর্তা প্রকৌশলী প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ব্যাপ্তি ছিল দুটি বাংলাদেশের সমান আকৃতির। তিনি বলেন, সাগরের উপরি ও নিম্নভাগে অবস্থান নেয় রোয়ানু। অতি বৃষ্টিই বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে উপকূলকে রক্ষা করেছে। প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের সর্বত্র আঘাত অব্যাহত রেখেছে রোয়ানু। তবে তা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে আঘাত হানছে। শনিবার পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকা ত্যাগ করে রোয়ানুর গতিপথ মিয়ানমার ও ভারতের আসামের দিকে যাবে বলেও জানান তিনি।