১০০ উপজেলায় কারিগরি স্কুল ও কলেজ করা হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৫:৪৩,অপরাহ্ন ২৯ জুন ২০১৬ | সংবাদটি ৩১৬৫ বার পঠিত
কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নে এক হাজার ৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট’ নামের প্রকল্পটিতে ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকি টাকা সরকার জোগাবে। ১০০টি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল ও কলেজ নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। উন্নত জাতের গাভি পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়।
গতকালের সভায় মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ব্যয় হবে মোট চার হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৮০৬ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সরকার কারিগরি শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। গত সাত বছরে কারিগরি শিক্ষার হার ১১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সাত বছর আগে দেশে কারিগরি শিক্ষার হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ব্রেক্সিট পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্যের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত আমলে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিল্প-কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা জায়গা দিলে সরকার শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার করে দেবে।
মন্ত্রী জানান, এখন থেকে মহাসড়ক তৈরি করতে হলে চার লেনের পরিকল্পনায় করতে হবে। ৫০ বছর পরের কথা চিন্তা করে পরিকল্পনা করতে হবে। তিনি জানান, কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কলেজ শিক্ষা খাতে সংস্কার ও কৌশল নির্ধারণ, কলেজ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়ানো, বেসরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি উন্নত করা হবে, সরকারি-বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা পদ্ধতি উন্নত করা প্রভৃতি। যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ এবং সে সবের বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত), ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন জেলায় ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) স্থাপন প্রকল্প, ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ইসলামপুর খেয়াঘাট অংশ), ২৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলাধীন বৈরাগীরহাট ও চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা (২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতেকলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)।
– See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2016/06/29/375655#sthash.ahW96NA7.dpuf