- প্রচ্ছদ
- জকিগঞ্জবার্তা
- জকিগঞ্জে আবারো বন্যা, ৩৬ গ্রাম প্লাবিত, বরাদ্ধ ২০ মে. টন চাল
জকিগঞ্জে আবারো বন্যা, ৩৬ গ্রাম প্লাবিত, বরাদ্ধ ২০ মে. টন চাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১৯:২০,অপরাহ্ন ১৭ জুন ২০২২ | সংবাদটি ৭৬২ বার পঠিত
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
একমাসের ব্যবধানে জকিগঞ্জে আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে। অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার জকিগঞ্জ উপজেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বিভিন্ন বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রবেশ করছে৷ ফলে প্লাবিত হচ্ছে অন্তত ৩৬ টি গ্রাম। এ বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান এবার সুরমা ও কুশিয়ারার ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশের কারণে বারহাল, বীরশ্রী, কাজলসার ও বারঠাকুরী ইউনিয়নের প্রায় ৩৬ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মোবাইল নং দিয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কেউ সহযোগিতা বা পরামর্শ নিতে পারেন। আজ শুক্রবার বন্যার্তদের জন্য ২০ মে.টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।
বারহাল এলাকা পুনরায় প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িঘরে পানি উঠেছে।বারহাল ইউপির চেয়ারম্যান জানান, সুরমা ডাইকের কয়েকটি স্থানের উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবল বেগে প্রবেশ করছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে,গ্রামীণ সড়কগুলো ডুবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খেশরপুর, মন্তইল,পাচালি, বাটইশাইল, বালিটেকা, নিদনপুর, ফতেহপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় নৌকার অভাবে মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সুরমা ডাইকের নুরনগর,উত্তর খিলগ্রাম, বারাকুলি, পুটিজুড়ি,নোয়াগ্রাম,নিজগ্রাম,
কচুয়া এসব স্থানের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবন্দি মানুষ আহাজারি করছে।
আটগ্রাম এলাকার সিদ্দিক ও কামরুল জানান বড়বন্দ ও নালুহাটি এলাকায় সুরমা নদীর পানি আগের ভাঙন দিয়ে প্রবল বেগে প্রবেশ করছে। এতে কয়েকটি গ্রামের রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিই নিলয় পাশা জকিগঞ্জ বার্তাকে বলেন শুক্রবার সকাল ৯ টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সুরমা নদীতে ১০৭ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কুশিয়ারা নদীতে এখনও বিপদ সীমার ৭ সে. মি. নীচে রয়েছে। যদিও সারা দিনে পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আগের কয়েকটি ভাঙন মেরামত করা হয়েছে।তবে কোথাও কোথাও মেরামত না হওয়ায় এসব ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশের কথা স্বীকার করেন তিনি।
বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু জানান কুশিয়ারা নদীর আগের ভাঙন পিল্লাকান্দি, রহিমপুর দিয়ে কিছু পানি ঢুকছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে এখনো ত্রিমোহনা, পিল্লাকান্দির বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হয়নি।
এনামুল হক মুন্না
জকিগঞ্জ, সিলেট।
১৭ জুন ২০২২