জকিগঞ্জ বার্তার ‘’মুখো্মুখি’’ অনুষ্ঠানে কাজলসার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ যা বললেন (বিস্তারীত)
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৮:২১,অপরাহ্ন ১২ এপ্রিল ২০১৬ | সংবাদটি ১১২৮ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: জনপ্রিয় ও সর্বাধিক পাঠক প্রিয় সংবাদ মাধ্যম জকিগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ‘’মুখোমুখি’’ হতে চায়। জকিগঞ্জ বার্তা চায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী হউক। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা নিশ্চিত হউক। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, প্রাপ্ত বরাদ্ধের যথাযথ ব্যবহার, দূর্নীতি এবং অনিয়ম রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই জকিগঞ্জ বার্তার মূল উদ্দেশ্য। এরই ধারাবিহকতায় কাজলসার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বাহাদুরের সাথে ‘’মুখোমুখি’’ হই। শনিবার বিকেলে আটগ্রাম স্টেশনস্থ ইউপির প্রকল্পের অফিস কক্ষে আয়োজিত ‘’মুখোমুখি’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিগণ, অনলাইন ইউজার, মুঠোফোনে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। প্রাণবন্ত ‘’মুখোমুখি’’ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন জকিগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক এনামুল হক মুন্না। সহযোগিতায় ছিলেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো: আলম উদ্দিন।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ কেমন আছেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ ভালো আছি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনি কি প্রথম বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ হ্যা।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন কি কারণে, নির্বাচনে আসার উদ্দেশ্য কি ছিলো?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ নির্বাচনে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের খেদমত করা। আমি মানুষের খেদমত করা একটা ইবাদত মনে করি, এটা মুখে নয় অন্তর দিয়েও। বিগত নির্বাচনে আল্লামা বড় ছাহেব ক্বিবলা ফুলতলীর দোয়া ও অনুমতি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ নির্বাচনে আসার পূর্বে আপনি জনগণকে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ আমি জনগণকে কোন প্রতিশ্রুতি দেইনি। আমি শুধু বলছিলাম যথা সাধ্য কাজ করবো।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনগণের জন্য কি কি করেছেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ আমি দেখতাম একজন গরিব লোক সে ১০কেজি চাল নেওয়ার জন্য সারাক্ষন রৌদ্রের মাঝে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো। আমার ধারনা ছিলো নির্বাচিত হলে গরিব ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি গাড়িতে করে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণ করবো। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের যে সিস্টেম রয়েছে তাতে এসব বিতরণের সময় একজন টেগ অফিসার থাকেন যার সামনে গ্রাহক ব্যক্তি স্বাক্ষর করে জিনিস গুলো গ্রহণ করতে হয়। সুতরাং আমার উদ্দেশ্যটাই বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমার আরো অনেক পরিকল্পনা ছিলো যেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আগামী নির্বাচনে আপনি আবারও নির্বাচিত হলে তা কি পূরন করতে পারবেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ বাংলাদেশ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদের বিধি বিধান এবং পরিপত্রের অধীনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। বিধায় পরিপত্র বিরোধী কোন কাজ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান করবেন এটা সম্ভব নয়, আমিও এমন দুঃসাহস রাখি না। তবে বাংলাদেশ একদিন মানবাধিকারের চরম শিখরে আরোহন করবে, তখন হয়তো আমার এ সব স্বপ্ন বাস্তুবায়ন হবে।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ গ্রাম আদালত কতটুকু শক্তিশালী এবং সুষ্ট বিচার হয় কি না?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ গ্রাম আদালত অত্যন্ত শক্তিশালী। আপনি জেনে খুশি হবেন যে, আমাদের গ্রাম আদালতে প্রায় ৬০টি মামলা লিখিতভাবে শেষ হয়েছে। এবং কোন বিচারের আপিলও হয়নি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি ও কর্মসৃজন সহ যে সকল প্রকল্প রয়েছে তা কি শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে?
আব্দুর রশিদ বাহাদুরঃ যদিও আমাদের শতভাগ বাস্তবায়ন না হলে বিল দেওয়া হয় না। আমাদের দেশের পেক্ষাপটে শতভাগ কাজ হওয়া কঠিন, যেখানে পিআইও কাজ পরিদর্শন করতে আসলে টাকা না দিলে হয় না সেখানে কি করে সম্ভব?
জকিগঞ্জ বার্তাঃ সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে এবং বিল্ডিং নেই, আপনি কি কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ মাসিক সমন্বয় সভায় আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম শিক্ষক সংকট নিয়ে, আমাকে আশ্বস্থ করা হয়েছে ১জন শিক্ষক দেওয়া হবে বলে। বিল্ডিং হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনার ইউনিয়নে প্রায়ই চুরি-ডাকাতি হচ্ছে এ নিয়ে আপনি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন ?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ আমি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরে হাড়িকান্দি গ্রামে ডাকাত আলী হোসেনের বাড়িতে ডাকাতরা লুটকৃত মালামাল বন্টনের সন্ধান পেয়েছিলাম। আমি আটগ্রাম থেকে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নিয়ে তাদের বাড়ি হানা দেই এবং আট জন ডাকাত আটক করি। গত কিছু দিন আগে রতনগঞ্জ এলাকায় দু’টি ডাকাতি হয়। এ ঘটনায়ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় রাত জেগে আমরা তিন জন ডাকাত ইতোমধ্যে আটক করেছি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনি কতটা সফল চেয়ারম্যান?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ আমি এটা বলতে পারি সফল হওয়ার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। বাস্তবে কতটা হতে পেরেছি তা জনগণ বলতে পারবে।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনি জনগণের কতটা আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ আমি যে সবার আস্থা অর্জন করতে পারবো তা ঠিক না। তবে আশা রাখি গত বছরের চেয়ে এইবার বেশি ভোট পাব। কারণ গত বছর অনেকে হয়তো আমাকে চিনতো না। যেমন গত বছর কয়েকটি ওয়ার্ডে ৪, ৬, ১৮ টি ভোট পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি কাজের বেলায় কখনো আমার মনে এসব রাখিনি। আশা করি এইবার কোন ওয়ার্ডে হতাশা হওয়ার মত ভোট পাবো না।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ দলীয় ভাবে নির্বাচন হচ্ছে, আপনার মতামত কি?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে কোন বিচারক দলীয় পরিচয় বহন করিতে পারিবেন না। এর পরেও যখন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিতে পারি। কিন্তু দলীয় পরিচয় বহন করিলে নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি মনে করি যদিও নিরপক্ষ বিচার হবে, কিন্তু যে মানুষটি বিচাই চাইবে সে অন্য দলের হলে বিচারে আস্থা রাখতে পারবে না।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনার ইউনিয়নে ১২জন সদস্য রয়েছে বাস্তবে দেখে গেছে আপনার কয়েকজন সদস্যের সাথে আপনার মিল নেই। এ অবস্থায় আপনি জনগণকে কতটা সেবা দিতে পেরেছেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ পরিষদের মিল এবং অমিলের বিষয়টি হলো সিদ্ধান্তের উপর, এখানে কারও দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু আমরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আপনি একেবারে অনর্থক বলেননি, বাজারে বাতাসে কিছু অভিযোগ রয়েছে। এটা বিভিন্ন সদস্যের ব্যক্তিগত বিষয়। হয়তো কারও ব্যক্তি চরিত্রের উপর আঘাত পড়েছে।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ জনগণের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলার থাকে ?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ সর্ব প্রথম আমি শুকিরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহ তাআলার। আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন সাথে সাথে তার পিয়ারে হাবিবে উম্মত করে সৃষ্টি করেছেন। আমি চাই দুনিয়া এবং আখিরাতে নবীর দলে থাকতে। সেই দলে থাকতে গিয়ে সত্য পথের পথিক হয়ে কাজ করতে গিয়ে সাধারণ জনগণ অনেক সময় কষ্ট পেয়েছেন। সেই কষ্টটুকু আমি ব্যক্তিগ/তভাবে দেইনি, আমার দর্শনের বহির্ভূত হওয়াতে দিয়েছি। সত্য বলতে গিয়ে হয়তো অনেকে দুঃখ পেয়ে থাকলে আমি মনে করবো এই দুঃখটা আমার কামনা ছিল না। জনগনের কাছে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে জনগণ একজন যোগ্য ব্যক্তি দেখে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। অবশ্য কাজলসার ইউনিয়নের জনগণ অতীতে কখনো ভুল করেননি।ভবিষ্যতেও করবেন না। আমি সকল মানুষের কাছে আবারও দোয়া চাই।
উপস্থিতদের মধ্য থেকে প্রশ্ন করেন,
বাবর হোসাইন চৌধুরীঃ দীর্ঘ দিন থেকে রতনগঞ্জ বাজারের কোন পরিচালনা কমিটি নেই, আমি জানতে চাই আপনি কি চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় কমিটি দিতে পারবেন কি না?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ বাজার কমিটি নেই সেটা সঠিক নয়। একটি বাজারে ইলেকশন ও সিলেকশন দু’টি প্রক্রিয়ায় পরিচালনা কমিটি হয়ে থাকে। রতনগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন কর্তৃক অনুমোদিত একটি কমিটি রয়েছে। বর্তমানে দুইটি ইউনিয়নের দু’জন পদাধিকারবলে সদস্য রয়েছেন হারুন মেম্বার ও ইয়াছিন মেম্বার। এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন, মামুন মিয়া ও কবির মিয়া।
দ্বীন মহাম্মদঃ আমি আটগ্রাম বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আমাদের বাজার উন্নয়নে সদ্য কোন কাজ হাতে আছে কি না? এবং আমাদের বাজারের বর্তমান কমিটি ধারা কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হচ্ছে না, আপনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কি কোন কমিটি হবে?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ বর্তমানে এ বাজারে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় মসজিদের ওযু এবং প্রসাবের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। তাই গত কালকেই আমি এ বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করি। বর্তমানে কাজ চলছে। আর বর্তমান যে কমিটি রয়ছে তার মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিটি দেওয়া হবে। আশা করি তা ইউপি নির্বাচনের পরে হবে।
পারভেজ আহমদ, ৫নং ওয়ার্ডঃ আমাদের ওয়ার্ডের কাজলসার গ্রাম থেকে নিলাম্বরপুর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পুনঃমেরামতের কাজটি কি হবে ?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ এ রাস্তাটি হচ্ছে এলজিইডির আওতায়। যেহেতু রাস্তাটি মেইন্টেনেন্সের জন্য এমপি সাহেবের ডিও লেটারে আসছে সেহেতু খুব শীঘ্রই কাজ না হলেও এ বছরে কাজ হবে।
শিহাবুল হক পারভেজঃ ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের এলজিএসপির বরাদ্দকৃত কালভার্ট নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য যে কাজগুলো আসছিলো ইতোমধ্যে সব কাজ কি সম্পন্ন হয়েছে?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ এলজিএসপির টাকাগুলো বিশ্ব ব্যাংক দিয়ে থাকে, তাই আমরা ১ম কিস্তির টাকা পেয়েছি। টাকা অনুপাতে আমরা কিছু কাজ সম্পন্ন করেছি ও কিছু কাজ চলমান রয়েছে। কিছু টাকা আমাদের হাতে রয়েছে যা দিয়ে পাতা শাহ মোকামে যাওয়ার জন্য একটি স্টিল ব্রীজের কাজ চলছে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে সব টাকা আসবে, আসলেই আমরা কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবো।
শিহাবুল হক পারভেজঃ ২০১১-১২ কর্মসৃজন প্রকল্পে চান্দপুর আখরা নামে কোন বরাদ্ধ কি দেওয়া হয়েছে?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ হ্যা, হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হওয়ার পরে কর্ম সৃজন থেকে খুব কম বরাদ্ধ দেওয়া হত যা ধারা খুব কাজ করানো সম্ভব হত না। বর্তমান বরাদ্ধ থেকে আমরা ইতো মধ্যে বেশ কয়টি কাজ করতে পেরেছি।
শিহাবুল হক পারভেজঃ ইতো মধ্যে যে কাজগুলো অসম্পন্ন রয়েছে, নির্বাচনের আগে কি তা করানো হবে?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ আশা করি ৭-৮দিনের মধ্যে আমরা বরাদ্ধ পাবো। এবং এর মধ্যে বরাদ্ধ আসলে আমরা নির্বাচনের আগে অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবো। আমি না থাকলেও কাজ তার গতিতে চলবে।
শিহাবুল হক পারভেজঃ আপনার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২-১টা অভিযোগ হয়েছিলো, এগুলোর কি কোন সত্য-মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ একটা অভিযোগ আমি যখন প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহনের পাঁচ দিন পর চাল বিতরণ করি তখন হয়েছিলো। মিডিয়ার মাধ্যমে জনগনের ভূল ভাঙ্গাতে চাই, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছিলো তা কালোবাজারি আত্মসাৎ। কালোবাজারী আত্মসাৎ হলো কম দামে কিনে বেশ দামে বিক্রি করা। আমি চাল কিনিনি এবং বিক্রিও করিনি। কিছু মানুষ রমজান মাসের দিন সিদ্ধ চাল পেয়ে তা বিক্রি করে দেয়। এতে আমি কয়েক জনকে বাধাও দিয়েছি। কিন্তু আমার উপর একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হলো। এডিসি জেনারেল মিজানুর রাহমান সাহেব নিজে তদন্তে এসে বিষয়টি ভূল প্রমাণ পেয়েছেন। আরেকটি ছয়জন মানুষের ৬০কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ হয়েছে, তাও একটি ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ।
হেলাল আহমদঃ বর্তমানে কাজলসার ইউনিয়নে অনেক গ্রামে বিদ্যুতায়নে অনেক গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছে, এতে আপনার করনীয় কি?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ হয়রানি হচ্চে তা লোক মূখে শুনা যাচ্ছে। যদি সু-নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আসে তবে আমি তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে পরামর্শ দেবো।
মাসুম আহমদ খাঁনঃ আগামি নির্বাচন দলীয়ভাবে হবে, আপনি কোন দলের হয়ে আসছেন?
আব্দুর রশীদ বাহাদুরঃ আমি নির্বাচনে অংশগ্রন করবো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ছাত্র জীবনে তালামীযের জকিগঞ্জ থানা শাখার সেক্রেটারি, সিলেট মহানগরের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ছিলাম। তারপরে আল-ইসলাহের কোন কমিটিতে ছিলাম না তবে আমি আল-ইসলাহকে বিশ্বাস করি। এবং আমি আল-ইসলাহের দোয়া নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো। প্রতীক নিয়ে আমি এখনও কিছু বলতে পারবো না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ১নং ইউপি সদস্য উস্তার হোসেন, লতিফিয়া ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়াল একাডেমীর প্রিন্সিপাল ইয়াইহয়া আহমদ চৌধুরী, নওয়াগ্রাম হযরত ফাতাহ শাহ (রাহঃ) দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ মাছুম আহমদ খান, মানবাধিকার কর্মী শিহাবুল হক পারভেজ, ব্যবসায়ী মাহতাব উদ্দিন, নুরুল আমীন সুলতা, ছাত্রলীগ নেতা বাবর হোসেন চৌধুরী, নাজির আহমদ, মোঃ মাসুকুর রাহমান মারুফ, মোঃ শামীম আহমদ, দ্বীন মোহাম্মদ, রুহুল আমীন প্রমূখ।
পরিশেষে, জকিগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান সহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।