ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ মার্চের মধ্যে দলীয় প্রতীকে ভোট *ফেব্রুয়ারিতেই তফসিল *প্রথম ধাপে হবে ৬ শতাধিক ইউপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪২:৪৩,অপরাহ্ন ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ৩২৪১ বার পঠিত
আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে দলীয় প্রতীকে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপে ৬ শতাধিক ইউপিতে নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওইসব ইউপিতে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে কমিশন। তবে নির্দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন আয়োজনের যে ভাবনা ছিল, তা নাকচও করেছে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার মতো ইউনিয়ন পরিষদেও দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। দলীয়ভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার আইন হয়ে আছে। ফলে ভিন্ন কোনোভাবে আপাতত নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ দেখি না। কবে নাগাদ ইউপি নির্বাচন হতে পারে—এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, দেশের ৬ শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ২৮ মার্চের আগেই নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কারণ এসব ইউপিতে ২০১১ সালের ২৯ মার্চ ভোট হয়েছে। আইনে পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী নির্বাচনের কথা আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতেই সাড়ে চার হাজার ইউপির মধ্যে ছয় শতাধিক ইউপির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ধাপে ধাপে ইউপির প্রথমবার চেয়ারম্যান দলীয় এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্দলীয় ভোট। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আলোকে নির্বাচন আচরণ বিধি ও নির্বাচন বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে ইসি। আচরণ বিধি অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচানের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়ররা। প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদেও কোনো ভোটারের স্বাক্ষরেরও প্রয়োজন হবে না। এমন বিধান চূড়ান্ত করে আজ রবিবার ইউপি নির্বাচন আচরণ ও নির্বাচন বিধি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, জনপ্রতিনিধিদের জনসম্পৃক্ততার বিষয় বিবেচনা করেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রচারে থাকার সুযোগ দেয়ার কথা চিন্তা করেছে ইসি। তবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রচারণায় যেতে পারবেন না তারা। এ ছাড়াও স্থানীয় সরকারে এই স্তরের নির্বাচনেও প্রচারে নামতে পারছেন না মন্ত্রী-এমপিরা।