চা বিক্রেতাকে পুড়িয়ে হত্যা, শাহ আলী থানার ওসি ক্লোজড
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৮:৪৪,অপরাহ্ন ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ৮৫৩ বার পঠিত
রাজধানীর মিরপুরে চা বিক্রেতা বাবুল মাতাব্বারকে (৪৫) পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের পর এবার শাহ আলী থানার ওসি এসএম শাহীন মণ্ডলকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলামেইলকে এ নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার শেখ মারুফ হাসান সরদার।
এর আগে বৃহস্পতিবার ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। সেই পুলিশ সদস্যরা হলেন- মিরপুর শাহ আলী থানার এসআই নেয়াজ উদ্দিন মোল্লা, মমিনুর রহমান, এএসআই জগেন্দ্র ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওসি ও চার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ডিএমপির ডিসি (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ১ সদস্য বিশিষ্ট একটি এবং মিরপুর বিভাগ থেকে দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে অপর কমিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন- মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিনার (এডিসি, ক্রাইম) মাসুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসন।
বাবুল মাতাব্বারকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে রোকসানা আক্তার বাদি হয়ে বুধবার রাতেই একটি মামলা করেছেন। তবে তড়িঘড়ি করে করা সেই মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বাদ দিয়ে পুলিশের সোর্সসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের দেয়া আগুনে দগ্ধ চা-বিক্রেতা বাবুল মাতাব্বার বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। তার শরীরের ৯৫ শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল।
গত বুধবার দেলোয়ার নামে এক পুলিশ সদস্য চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জ্বলন্ত চুলায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তেল ছিটকে দগ্ধ হন বাবুল।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ বেড়িবাঁধ কিংশুক সমিতির গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বাবুলের ছেলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
সুত্র: বাংলা মেইল