শিক্ষক করিম হত্যার মূল আসামী আপন ভাই রহীম আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫১:২৩,অপরাহ্ন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ১৩৫১ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: জকিগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জনপ্রিয় মেধাবী শিক্ষক, সুলতানপুর ইউপির গেছুয়া গ্রামের আব্দুল করিম হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে মূল আসামী আব্দুর রহীমকে আটক করেছে পুলিশ। থানার ওসি মো: সফিকুর রহমান খান জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান গত ৮ফেব্রুয়ারি রাতে সিলেট নগরী থেকে ডিবি পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়। গতকাল জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।
গত ২০১৪সালের ৯জুলাই বুধবার রাতে হাত-পাসহ শরীরের বিভন্ন অঙ্গ ভেঙ্গে নির্মমভাবে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সহোদর আব্দুর রহীম, আব্দুস শাকুর গংরা। পরদিন তড়িগড়ি করে দাফন করা হয়। সর্বপ্রথম জকিগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় পুরো এলাকায়। এর পর একে একে দৈনিক পত্রিকা সমূহে ঘটনার আদ্যোপান্থ উঠে আসে। ১১জুলাই শুক্রবার গেছুয়া মসজিদে থানার ওসি জামশেদ আলম উপস্থিত হয়ে রক্তমাখা গেঞ্জি উদ্ধার করেন। হাজারো মানুষের তোপের মুখে পড়েন ওসি। ঐদিন রাত ১১টার দিকে শিক্ষক আব্দুল করিমের ছোট ভাই ফাহিম আহমদের স্ত্রী রোজীনা বেগমকে বাদী দেখিয়ে ৫জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২৩জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিটন খীসার উপস্তিতিতে মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।ময়না তদন্তে উঠে আসে নির্মম নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র।
অবশেষে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। গঠিত হয় শিক্ষক করিম হত্যার প্রতিবাদী মঞ্চ। জকিগঞ্জের ইতিহাসে এমন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন আর দেখেননি মানুষ।
শিক্ষক প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন জকিগঞ্জ বার্তাকে বলেন মামলাটি জকিগঞ্জ আমলী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। শিগগির বিচারিক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। শিক্ষক করিম হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামীর সবোর্চ্চ শাস্তির দাবি জানান। বলেন উচ্চ আদালত থেকে ইতোমধ্যে জামিনে রয়েছেন এসআই থেকে বরখাস্তকৃত আব্দুস শাকুর, ফাহিম, শেফা। শুধুমাত্র আবুল প্রবাসে রয়েছে।