এখনো ভালোবাসার চিঠি লিখি…
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩০:২৮,অপরাহ্ন ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ২১৮৬ বার পঠিত
‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ আসতে মাত্র একদিন বাকী। চাইলে এবার প্রিয় মানুষটিকে চমকে দিতে তাকে নিয়ে লিখতে পারেন আবেগপূর্ণ ভালোবাসার চিঠি। যার অভিব্যক্তি অন্য কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সুপ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু তিনি ভালোবাসার চিঠিও লিখেন তার প্রিয় মানুষটির কাছে। কেন চিঠি লিখেন? চলুন জেনে নেয়া যাক তার কাছ থেকেই।
সুপ্রিয়া বলেন, চ্যাট বক্সে আমার ঘনিষ্ঠ একজনকে পান্ডা ইমোটিকন পাঠাই। তার প্রতি আমার অপরিসীম ভালোবাসা প্রকাশের জন্য চোখে ভালোবাসার চিহ্ন সংবলিত স্মাইলি ইমোটিকন এবং একটি হার্ট ইমোজি পাঠাই। আমি দেখলাম, সে টাইপিং করে গেল কিন্তু কোনো বার্তা আমার কাছে পৌঁছালো না। আমি নির্বাক হয়ে চ্যাট বারের দিকে তাকিয়ে রইলাম, বুঝতে পারলাম ইমোটিকন কখনোই বুঝাতে পারে না আমরা কী পরিমাণ ভালোবাসি। মাঝে মাঝে ইমোটিকন শুধু এটিই বুঝায় আমরা কত বোকা।
সুপ্রিয়া আরও বলেন, আপনি যখন কারো কাছে ক্ষুদে বার্তা বা চ্যাট বক্সে লেখেন তার কী সেই অনুভূতি হচ্ছে, যা একটি চিঠিতে হবে। আমি যখন চিঠি লিখি তখন কল্পনার কোনো সীমারেখা থাকে না। মনের মাধুরী মিশিয়ে আমার সব স্বপ্ন, ভালোবাসা, কল্পনার কথা লিখতে পারি। যা অন্য কোনো মাধ্যমে লেখা সম্ভব নয়।
হোয়াটসঅ্যাপে যখন নীল রঙয়ের টিক চিহ্ন দেখা যায় তখন বুঝা যায় যাকে লিখছেন সে লেখাটি পড়েছে। কিন্তু এই একই সময় যদি আমি হৃদয় উজার করে প্রেমপত্র লিখি এবং সে যদি উত্তর না দেয়, তখন বুঝতে হবে চিঠিটি তার কাছে পৌঁছায় নাই। যখন বার্ধক্য পৌঁছাব, তখন আমার নাতি-নাতনীরা পুরোনো টাংকে তাদের দাদা কাছে লেখা চিঠি খুঁজে পাবে তখন নিশ্চয়ই তারা অনেক অবাক হবে, খুশি হবে। তাই এখনো আমি ভালোবাসার চিঠি লিখি…