৬৪ বছর পর ভাষাসৈনিকের স্বীকৃতি চাইলেন নূর মোল্লা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৩৩:২৯,অপরাহ্ন ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ৭৫২ বার পঠিত
ভাষা আন্দোলনের ৬৪ বছর পর এসে নিজেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রথম ঘোষক বলে দাবি করলেন নূর মোল্লা। একই সঙ্গে তার অভিযোগ, রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে ভাষাসৈনিকের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি । অবশ্য স্বীকৃতি না পাওয়ার পেছনে তিনি আত্মপ্রচারণা বিমুখতাকেই দায়ী করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলনে নিজের সম্পৃক্ততা তুলে ধরে নূর মোল্লা বলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি নিয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। আমি সে কমিটির একজন সদস্য। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এ দাবিতে তখন আমরা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে টিনের চোঙ্গা নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বক্তৃতা দিতাম।
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল পূর্ব পাকিস্থান আইন পরিষদের অধিবেশন। এর আগের দিন ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নুরুল আমিন সরকার ঢাকায় এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। ওই দিন রাতেই আমরা মোহাম্মদ তোয়াহার বাসায় সভা করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় চুড়ান্ত সিন্ধান্ত নেই। এবং ওই সভাতে আমিই প্রথম দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ১৪৪ ধারার ভঙ্গের ঘোষণা দেই।
উপস্থিত সকলে ঘোষনার সমর্থনে পরদিন সকালে গোপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় জড়ো হয় । এরপর মিছিল শুরু করলে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে রফিক, শফিক, সালাম, জব্বারসহ অনেকেই শহীদ হন।
তাদের মধ্যে একজনের লাশ আমরা লুকিয়ে রাখি। পরদিন সেই লাশ নিয়ে মিছিল শুরু করলে পুলিশ আবার গুলি চালায় এবং আরো ২ জন শহীদ হন।
তিনি আরো বলেন, সংগ্রাম কমিটির সদস্য হিসেবে আমি এবং ডা. আব্দুস সত্তার ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে যাই এবং লালদিঘি ময়দানে সমাবেশি করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করি নোয়াখালির চৌমুহনী কলেজের সামনে।
তবে কি ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি পেতেই এই সংবাদ সম্মেলন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বীকৃতি আমি পেতে চাই না। কারণ সর্বক্ষেত্রেই এখন ব্যক্তিস্বার্থ ও ব্যবসা জড়িত। আমি যে ভাষা সৈনিক ছিলাম তা তরুণ প্রেজন্মকে জানানোর জন্যই এ সংবাদ সম্মেলন।’
সুত্র: বাংলা মেইল