প্রেমের টানে এসে কিশোরী ধর্ষিতা, আত্মহত্যার চেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৮:৩৭,অপরাহ্ন ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ১৩৪৫ বার পঠিত
প্রেমের টানে প্রেমিকের প্রতারণা ও ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক কিশোরী। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ডেকে এনে কয়েক দফা ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে।
তিনদিন আগের এ ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে অচেতন থাকার পর অবশেষে মুখ খুলেছে ওই কিশোরী। রামেক হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে ভর্তি করা হলেও এখন তার পরিচয়ও মিলেছে। বর্তমানে ওই কিশোরী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ওই কিশোরীকে আইনি সহযোগিতা দিচ্ছে।
হাসপাতালের ওসিসি আইন সহায়তা কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমা খাতুন জানান, অজ্ঞাত হিসেবে ভর্তি হলেও ওই কিশোরী কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়ে মুখ খুলেছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলো মেয়েটি।
ওই কিশোরীর (২০) বাড়ি জেলার তানোর উপজেলায়। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। সেখান থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়ি এসে প্রেমিকের ডাকে সাড়া দেয়। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কয়েক দফায় তাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক জেলার পবা উপজেলার খুপেরহাট বাজারের মোবাইল সার্ভিসিং-এর ব্যবসায়ী রাব্বি হোসেন।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি হাসপাতাল থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। তবে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানান, সম্পর্কের জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে প্রেমিক রাব্বি তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কুপেরহাট বাজারে তার দোকানে ডেকে নেয়। এরপর পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাকে। সেখান থেকে বিকেলেই আবার রাজশাহী শহরের একটি হোটেলে নিয়ে আসে আবারো কয়েক দফা ধর্ষণ করে। কিন্তু ধর্ষণের পর আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি রাব্বি। এতে ক্ষোভে ওই কিশোরী পরের দিন বুধবার পুনরায় কুপেরহাট বাজারে গিয়ে প্রেমিকের দোকানের সামনে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে অজ্ঞাত হিসেবে ওই কিশোরীকে হাসপাতালের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
ওসিসির ইনচার্জ এসআই নাজমা খাতুন জানান, মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ। সে ঠিকভাবে কথা বলতে পারছে না। প্রথমে তার চিকিৎসার প্রয়োজন। শনিবার কিছুটা সুস্থ হলে তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।