এমসি কলেজ ছাত্র রিংকুকে না বাচাতে পেরে জকিগঞ্জের আফজল চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং জকিগঞ্জ বার্তাকে কিছু কথা
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১০:৩০,অপরাহ্ন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | সংবাদটি ২০৫৫ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষ-মানুষের জন্য, জীবন-জীবনের জন্য এ মানবিক শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত সিলেট এমসি কলেজের মনো বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র, বিয়ানীবাজারের সন্তান রিংকু পদ কর (২৭) কে প্রাণপণ চেষ্টা করেও বাচাতে পারেননি জকিগঞ্জের সন্তান সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র আফজল হোসেইন চৌধুরী। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মচারিদের গাফিলতিই তার মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোলাপগঞ্জের রানাপিং নামক স্থানে জকিগঞ্জগামী বাস ও আল মদীনা অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন রিংকু পদ কর। রিংকুকে হাসপাতালে নিতে সিএনজি ডাকেন, কিন্তু চালক বা অন্য কেউ সেদিকে কর্ণপাত করেননি। নিজের কারটি জ্যামে পড়ে যায়, নয়তো সে গাড়ি দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া যেতো। পরে অনেক কষ্ট করে একজন চালককে অনুরোধ করে নিজের কোলে নিয়ে সিএনজি দিয়ে রওয়ানা হন আফজল। পাচ মাইল নামক স্থানে যাওয়ার পর আল মদীনা অ্যাম্বুলেন্সে তুলেন আফজল। ততক্ষণে রিংকুর অতিরিক্ত রক্তে আফজলের পুরো শরীরের কাপড় রক্তমাখা। তবুও রিংকুকে বাচাতে চান। জকিগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক এনামুল হক মুন্নাকে সেদিনের বিষয়টি জানান আফজল। বলেন ডাক্তারদের গাফিলতি রিংকুর মুত্যু হয়েছে বলে আমি ,মনে করি। তারা যদি মানবিক কারণে রিংকুকে দ্রুত সেবা দিতো তাহলে হয়তো রিংকু মারা যেতা না। শুনুন তার দুখ গাথা কথা গুলো।
অনেক কষ্ট করে উদ্দার করে হাসপাতাল নিলাম। অজরে রক্ত বেরুচ্ছ, কিন্তু ১০ টাকা দিয়ে টিকট না আনলে ডাক্তার দেখবে না। টিকেট আনলাম কিছুক্ষন পর ডাক্তার লিখে দিলেন সুতা ও অন্যান্য কিছু ঔষধ আনার জন্য, এক ভাইকে দিয়ে আনালাম, তারপর ডাক্তার রুমে বসে আছেন আর ওয়াড বয় ছিলাই করে কিন্তু এ সিলাইর পর আর লোকটা বাচে নি। মারা গেছে। এটা অন্য কোথাও নয় সিলেটের ওসমানি মেডিকেল। কষ্ট লাগে কবে এ দেশের মানুষ দায়িত্বশীল হবে। সরকারি চাকরি যারা করে তারা আরো বড় সরকার। আমরা সচেতন না হলে আমাদের ভাই বোন এভাবে মারা যাবে। দয়া করে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। আল্লার কাছে জবাব দিতে হবে। এই ভাইটি চলে গেছে আমার আপনার ভাই যেতে কতক্ষন। অনেক কষ্ট লাগতেছে।