লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৩:১৫,অপরাহ্ন ১৬ মার্চ ২০১৬ | সংবাদটি ১০৭৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার রাত নয়টা ৪০ মিনিটে এই পরোয়ানার কপি কারাগারে পৌঁছায়। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষ একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে পরোয়ানার কপি কারাগারে নিয়ে যায়।
এর আগে রাত নয়টার দিকে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক এবং বিচারিক প্যানেলের দুই সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
পরে আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়সহ লাল সালুতে মোড়ানো পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরোয়ানা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হবে, সেখানেই আছেন নিজামী।
নিয়ম অনুযায়ী রায়ের অনুলিপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু পরোয়ানার হাতে পেলে কারা কর্তৃপক্ষ আসামিকে তা পড়ে শোনাবে। ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই সাজা কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু হবে।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে নিজামীর মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। রায়ের অনুলিপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল অরুনাভ চক্রবর্তী ট্রাইব্যুনালে যান। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুক তা গ্রহণ করেন।
আজ বিকালে ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিলে রায় প্রদানকারী চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশিত হয় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে।
অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আনোয়ারুল হক ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতুদণ্ডাদেশ দেন নিজামীকে।
নিজামীকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত আটটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে চারটিতে ফাঁসি ও চারটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী। পরে আপিল বিভাগ তিনটিতে ফাঁসি ও দুটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। অন্য তিনটিতে চূড়ান্ত রায়ে দণ্ড থেকে খালাস পান নিজামী, যার মধ্যে একটিতে ফাঁসি ও দু’টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে।