জকিগঞ্জ বার্তার ‘’মুখোমুখি’’ অনুষ্ঠানে ভবণ নির্মাণে ১বিঘা ভূমি দানের ঘোষণা দিলেন খলাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান (বিস্তারীত)
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩৫:২২,অপরাহ্ন ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | সংবাদটি ১৫৬৬ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: জনপ্রিয় ও সর্বাধিক পাঠক প্রিয় সংবাদ মাধ্যম জকিগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ‘’মুখোমুখি’’ হতে চায়। জকিগঞ্জ বার্তা চায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী হউক। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা নিশ্চিত হউক। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, প্রাপ্ত বরাদ্ধের যথাযথ ব্যবহার, দূর্নীতি এবং অনিয়ম রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই জকিগঞ্জ বার্তার মূল উদ্দেশ্য। এরই ধারাবিহকতায় খলাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ মনোনীত ”নৌকা প্রতীক” প্রাপ্ত কবির আহমদের সাথে ‘’মুখোমুখি’’ হই। সোমবার বিকেলে ইউপির অফিস কক্ষে আয়োজিত ‘’মুখোমুখি’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিগণ, অনলাইন ইউজার, মুঠোফোনে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। প্রাণবন্ত ‘’মুখোমুখি’’ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন জকিগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক এনামুল হক মুন্না। সহযোগিতায় ছিলেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো: আলম উদ্দিন।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ কেমন আছেন?
কবির আহমদঃ হ্যা, ভালো আছি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনি নির্বাচনে আসার কারণ বা উদ্দেশ্য কি ছিলো?
কবির আহমদঃ আমি নির্বাচনের আগে উপজেলার প্রায় সব ক’টি ইউনিয়ন দেখেছি, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি দিক থেকে আমাদের খলাছড়া ইউনিয়ন সবচেয়ে পিছনে ছিলো। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা। তখন থেকে আমার মনে প্রশ্ন জাগে এবং ধারণা করি আমি নির্বাচিত হলে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখবো।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনি নির্বাচিত হয়ে তা কতটা করতে পেরেছেন?
কবির আহমদঃ আমি অনেকটা করেছি এবং কিছুটা চলমান ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ নির্বাচনে আসার পূর্বে আপনি জনগনকে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?
কবির আহমদঃ আমি জনগণকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেইনি। তবে বলছিলাম, আমাকে আপনারা নির্বাচিত করেন তাহলে সরকার প্রদত্ত যাহা কিছু আসবে, তা আপনাদের কাছে যথা সময়ে যথাযথভাবে পৌছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ এমন কোনো সমস্যা এখন পর্যন্ত রয়েছে যা আপনি সমাধান করতে পারেননি নি?
কবির আহমদঃ একটি মাত্র সমস্যা হলাে আমাদের ইউনিয়ন কমপ্লেক্সটি সরকারি অথবা দানকৃত জায়গার অভাবে যথাযথ স্থানে স্থানান্তর করতে পারিনি। আগামীতে নির্বাচিত হলে আশা করি তা করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ বিগত বছরগুলোতে আপনি জনগণের কতটা আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন?
কবির আহমদঃ আমি মনে করি আমার কাজের মাধ্যমে এ পর্যন্ত জনগণের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ একজন চেয়ারম্যান হিসাবে আপনি কতটা সফল বলে মনে করেন?
কবির আহমদঃ সফলতার সংজ্ঞা আমার জানা নেই। তবে আমার যে পরিকল্পনা ছিলো তা থেকে আমি মনে করি শত ভাগ সফল। সরকার প্রদত্ত গরিব, দুঃখী মেহনতি মানুষের যে হক আসে এটা আমি শত ভাগ পৌছানোর চেষ্টা করেছি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি ও কর্মসৃজন সহ প্রকল্প গুলো কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে?
কবির আহমদঃ বিগত বছর গুলোতে অডিটে আমরা কর্ম দক্ষতা ও কাজের গুনগত মানের দিক থেকে উপজেলার মধ্যে প্রথম হয়েছি। গত অর্থ বছরে উপজেলার মধ্যে সর্বচ্চ মার্ক ১৮ এবং চলতি অর্থ বছরে সর্বোচ্চ মার্ক আমরা পেয়েছি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ সুষম বণ্টন কতটা হয়েছে?
কবির আহমদঃ এ ক্ষেত্রে আমি কোথায় ভোট কম পেয়েছি আর কোথায় বেশি পেয়েছি না ভেবে প্রতিটা ওয়ার্ডে সমানভাবে মুল্যায়ন করে কাজ করেছি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ গ্রাম আদালত কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে?
কবির আহুমদঃ আমি এই পর্যন্ত প্রায় ১৬০টি মামলা নিষ্পত্তি করেছি। যার মধ্যে ৩টি মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয় এবং দুটি মামলা উচ্চ আদালতে আপিল করতে চাইলে আদালত আপিলের সুযোগ দেয়নি।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আগামী নির্বাচনে দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সে ক্ষেত্রে জনগণের জন্য কতটা উন্নয়ন করা সম্ভব হবে?
কবির আহমদঃ আমি মনে করি, একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে দল থেকে ৫০% ভোট এবং প্রার্থী ব্যক্তির উপর ৫০% ভোট নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে দলীয় করণের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। আমি মনে করি দল মতের উর্ধ্বে উঠে কাজ করার চেষ্টা করবো।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ আপনি কি মনে করেন আগামী নির্বাচন সুষ্ট, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে?
কবির আহমদঃ আমি মনে করি অন্তত জকিগঞ্জে সুষ্ট, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কারণ জকিগঞ্জের রাজনীতিতে মায়া-মমতা, সম্প্রীতি রয়েছে যার ফলে এমনটা আশাবাদী।
জকিগঞ্জ বার্তাঃ মুলিকান্দি গ্রামে নৌকা পূজাকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলা চলতো, এ বিষয়ে আপনার পদক্ষেপ কি ছিলো?
কবির আহমদঃ আমার কাছেও এমন অভিযোগ আসছিলো, যার ফলে আমি নিজে ৩-৪বার পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়েছি।
উপস্থিতি, মুঠোফোন ও অনলাইন ব্যবহারকারীদের মধ্য থেকে প্রশ্ন করেন,
মাসুক আহমদঃ খলাছড়া ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল পৌরসভা থেকে ইউনিয়ন কার্যালয় স্থানান্তরের দাবি। আপনার নির্বাচনী ইশতেহারে ইউনিয়ন স্থানান্তরের বিষয়টি ছিলো, এখন পর্যন্ত স্থানান্তর না হওয়ার কারণ কি?
কবির আহমদঃ আপনারা হয়তো জানেন ইউনিয়ন কার্যালয় স্থানান্তর করতে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তা স্থানান্তর করতে হয়। যেখানে যোগাযোগ, নিরাপত্তা, বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা রয়েছে সেখানে নিদির্ষ্ট পরিমাণ জায়গার উপর ইউনিয়ন কার্যালয় স্থাপন করতে হয়। সুতরাং আমাদের ইউনিয়নে এমন একটি মাত্র জায়গা রয়েছে ঈদগাহ বাজার যেটি ইউনিয়ন কার্যালয় স্থানান্তর নীতিমালার মধ্যে পরে। যেহেতু ঈদ্গাহ বাজারে কোন সরকারি জায়গা নেই, সুতরাং আমরা এলাকাবাসী ভূমি দান করলে সরকার কমপ্লেক্স করে দিবে। এ বিষয়ে আমি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক বার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। প্রথমে অনেকে বলছিলেন ভূমি দান করবেন পরে কেন জানি তাঁরা সরে গেলেন। তারপরও আমার বাবা ( হাজী আব্দুল খালিক ) বলেছিলেন ৭শতক ভূমি দিবেন। শেষ পর্যন্ত কেউ ভূমি না দেওয়াতে কার্যালয় স্থানান্তর করা যায়নি। তবে আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অন্তত ১বিঘা ভূমি দান করে যাব।
সাকিবুর রাহমান গ্রাম- পশ্চিম বেউরঃ এখন বৃষ্টির দিন, বিভিন্ন খাল সহ বেউর খাল পানি জলাবদ্ধ হয়ে কবরস্থান ডুবে যায়। এর জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না?
কবির আহমদঃ বেউর খাল আমাদের পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় ইতো মধ্যে অন্তর্ভূক্ত আছে। শুধু পানি নিষ্কাশন নয়, শুকনো মৌসুমে পানি ধরে রাখারও ব্যবস্থা করা হবে। কারণ বেউর এলাকায় পচুর পরিমানণে শাক-সবজি উৎপাদন করা হয়। আশা করি চলতি বছরেই কাজ করা হবে।
শহিদঃ আমি মনে করি আপনার দেওয়া বিগত নির্বাচনী ইশতেহারের ৮০% সম্পন্ন হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আপনার নির্বাচনি ইশতিহারে প্রথমে কি কি থাকবে?
কবির আহমদঃ আমি লক্ষ্য করেছি আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। যতই ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হউক না কেনো আগে দেশের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থান এ সমস্ত মৌলিক চাহিদা পূরন করতে হবে। আমার এলাকায় শিক্ষার অবকাঠামোগত বেশ সমস্যা রয়েছে। আগামীতে শিক্ষার মান উন্নয়ন বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে শিক্ষার একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারি এ বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথমে থাকবে। দ্বিতীয় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং আমার ও সমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করবো।
মিহির রায়: আমরা ৯নং ওয়ার্ডবাসী কিন্তু আমাদের ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ৮নং ওয়ার্ডে। আমাদের ৯নং ওয়ার্ডে কি ভোট দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে?
কবির আহমদঃ এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৯নং ওয়ার্ড বাসী আমাকে লিখিতভাবে আবেদন করেন। আমি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী স্থান এফআইভিডিবি স্কুলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচন ঐ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
সুমিত রায় মেম্বার: জকিগঞ্জ থেকে রুঙ্গাইচকের ভিতর হয়ে কালিগঞ্জ রাস্তায় সংযুক্ত স্থানে একটি ব্রীজ গত দু’বছর থেকে হওয়ার কথা ছিলো, এখনোও তা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ কি?
কবির আহমদঃ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে আমার একটি পরিকল্পনা ছিলো এবং আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে ঐ ব্রীজের প্রস্তাব করি। যেহেতু ব্রীজটি বড় সুতরাং পিআইও সেকশন থেকে এমপির অনুমোদনে কাজ করতে হয়। পরে ব্রীজটি প্রায় চূড়ান্ত হতেই এমপি পরিবর্তন হলে কাজটির ফাইল আটকা পরে। বর্তমানে আবার আমি এবং জকিগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একত্রিত হয়ে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আশা করি এ বৎসরে কাজটি সম্পন্ন হবে।
৭নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মুমিন জামাল: আমার ওয়ার্ডের তেরাপুর কবর স্থানের ব্রীজটির খুবই নাজুক অবস্থা। আমার ওয়ার্ডটি খুবই গরিব, যদি আপনার কোন বরাদ্ধ থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় আমরা উপকৃত হবো।
কবির আহমদঃ আগামী এলজিএসপি বরাদ্ধ হলে আপনার ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে প্রস্তাব আকারে পাঠালে আমরা কাজটি করতে পারবো।
নমর হোসেন, গ্রাম- ঈদগাহ বাজার থেকে ষাইটসৌলা যাওয়ার রাস্তাটির কাজ করা হবে কি ?
কবির আহমদঃ ঈদগাহ বাজার থেকে এটা লিংক রোড। আমরা ইতোমধ্যে দুই কি.মি. রাস্তার এর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। যেহেতু পাকা করণের বিষয়গুলো এমপির অধিনস্ত, চেয়ারম্যানের তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। সুতরাং প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে, আমি না থাকলেও কাজ হবে।
সুশিল রায়, গ্রাম- মুলিকান্দিঃ আমাদের মুলিকান্দি গ্রামের খালের দক্ষিন পাড়ের রাস্তাটি মাটি ভরাটের কাজটি কি করা হবে?
কবির আহমদঃ এটি আমাদের মাষ্টার প্ল্যানের মধ্যে আছে। খালে পানি বেশি থাকায় বর্তমানে কাজ করার সুযোগ নাই। যথা সময়ে কাজ শুরু হবে।
আতিক আলীঃ ঈদ্গাহ বাজারের ঈদগাহের ড্রেনটি কাজ করা সম্ভব হলে আমরা উপকৃত হতাম।
কবির আহমদ: যেহেতু ঈদগাহের নামাজের স্থান পাকাকরণ করা হয়েছে পর্যায়ক্রমে সবই হবে।
হাফেজ কুদরত উল্লাহ: চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা ও দ্বীনী সামাজিক সংগঠনে দান খয়রাত করেছেন তিনি। ভবিষ্যতে তিনি এভাবে দান-খয়রাত করবেন?
কবির আহমদ: অতীতে যেভাবে দান খয়রাত করেছি, ভবিষ্যতেও এভাবে থাকবে।
রুবেল আহমদ শিবলু: আমাদের ডিগ্রী গ্রামের ভেতরের রাস্তাটি এখনো পাকা বা ইটসলিং হলো না কেনো?
কবির আহমদ: এ রাস্তাটির কিছু অংশ ইতোমধ্যে কাজ করা হয়েছে। বাকি অংশ যথাশীঘ্র হবে।
ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে সচিব ফখরুল ইসলাম বিগত সাড়ে ৪বছরের উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ তুলে ধরেন।
বিগত অর্থ বছরে ভূমি হস্তানস্থর কর খাতে মোট আয় ৫, ০৬৬৩৮টাকা, তা ৬টি প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে। এলজিএসপি ২ খাতে আয় ৫৫, ১৩,২১৭, ৬৪টি প্রকল্পে তা ব্যয় হয়েছে। হোল্ডিং কর হতে আদায় ১, ৯৪, ৪০৮ টাকা। ৪টি প্রকল্পে তা ব্যয় করা হয়েছে। কাবিখা-কাবিটায় আয় ৩০, ৬১,৫০০টাকা, ২০টি প্রকল্প বাস্তবায়নে তা হয়েছে। টি আর থেকে প্রাপ্ত আয় ২৭, ২৯, ৫০০টাকা। ৫৯টি প্রকল্পে তা ব্যয় করা হয়েছে। কর্মসৃজন থেকে প্রাপ্ত আয় ৬১, ২১০০০ টাকা। ৩৯টি প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে। এডিপি খাতে আয় ২৬, ৪৮, ৭৬৪ টাকা। ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নে এ ব্যয় ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিগত ২০১১-১২ হইতে ২০১৫-১৬ মোট প্রায় ৫বছরে ২, ০৭১, ০০৫১ টাকার বিপরীতে মোট ২১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউপির নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে, জন্মনিবন্ধন হতে বিগত প্রায় ৫বছরে ৮৬, ৫০০ টাকা, হোল্ডিং কর হতে ১, ৯৪, ৪০৮ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স হতে ১, ০০৮৮৬ টাকা, বিবিধি ১, ৬১, ৩১১টাকা এবং স্থিতি রয়েছে ১, ৩৮, ০৬২ টাকা। প্রায় ৫বছরে মোট নিজস্ব আয় হয়েছে ৬, ৮২, ২১৬৭ টাকা।
উপস্থিত ছিলেন ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আজিজ, ২নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস ছালাম, মুক্তিুযাদ্ধা আছদ্দর আলী, মো: আলিফ উদ্দিন, মো: হুমায়ুন রশিদ, প্রবাসী হাফেজ কুদরত উল্লাহ, মো: আব্দুল মালিক, আব্দুল খালিক, মো: আশরাফুল ইসলাম, মো: আব্দুস ছাত্তার, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম, আজির উদ্দিন, ব্যবসায়ী সফিকুর রহমান, মো: আব্দুল মানিক, যুবদল নেতা মাসুক আহমদ, মো: আশিক আলী, হোসাইন আহমদ, সফিকুর রহমান মেম্বার, খলিল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, মো: জয়নাল, মো: জামাল উ্দ্দিন ও ইউপি সচিব মো: ফখরুল ইসলাম ।