প্রশাসনের আগাম সতর্কতা; উদ্বগ-উৎকন্ঠায় জকিগঞ্জ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৬:২৩,অপরাহ্ন ১৬ এপ্রিল ২০১৬ | সংবাদটি ২২৪৪ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রশাসনের আগাম সতর্কতায় জকিগঞ্জের সর্বত্র উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এ জন্য মসজিদে মসজিদে চলছে দোয়া মাহফিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান, জকিগঞ্জে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। সে জন্য বড় ধরনের বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুরমা-কুশিয়ারা নদী পাড়ের মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে অথবা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যানদের জানানো হয়েছে, যে তারা নদীপাড়ের সাধারণ মানুষকে সরে যেতে অথবা সতর্ক থাকতে ।অতীতে কখনও এভাবে সতর্ক করা হয়নি, এবার কেনো? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। তাহলে কি কোনো রহস্য আছে, না-কি ভারত জমিয়ে রাখা পানি ছাড়বে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে, যে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিও আশরাফুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার জকিগঞ্জ বার্তাকে বলেন বিষয়টি আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় জানিয়েছেন। আমার এলাকার নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছি। এমন সতর্কতা কেনো দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নে তিনি সেদিন গাড়িতে থাকায় স্পষ্ট সব কিছু শুনেননি বলে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান, ইউএনও্ মহোদয় ফোনে বিষয়টি আমাকে জানালে আজ মসজিদে মসজিদে বিষয়টি সাধারণ মানুষকে অবগত করি। বলা হয়েছে, বড় ধরনের বন্যা আসতে পারে। তাই ডাইকের কাছাকাছি কেউ যেনো না থাকে।
সব মিলিয়ে পুরো জকিগঞ্জের মানুষ উদ্বেগ-উৎকন্ঠা আর শংকায় রয়েছেন। কি হচ্ছে ১৬, ১৭ আর ১৮ তারিখে। এই ৩দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়াতে মানুষের শংকা আরো বেড়ে গেছে। অনেকেই বোরো ধান কেটে ফেলেছেন। কারণ কি জানি কি হয়।জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু, আব্দুর রশিদ বাহাদুরের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।