কালিগঞ্জে দূর্লভ রায়ের গোপাট নামীয় খাল বরাটের পরিনাম জন দূর্ভোগ;; পিচ রাস্তায় বাঁশের সাঁকো !
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২৭:৪৮,অপরাহ্ন ২৪ মে ২০১৬ | সংবাদটি ২৭৩৫ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের খলাদাপনিয়া গ্রামের কালিগঞ্জ বাজার হইতে পুরাতন কালিগঞ্জ বাজার রাস্তা সহ একটি খাল ছিল, যা সরকারের খাতায় দূর্লভ রায়ের গোপাট নামে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, একটি পিচ রাস্তা ছাড়া আর কিছু নেই। এলাকার কতিপয় লোক সম্পুর্ন খালটি বরাট করে অবৈধভাবে দোকান পাট নির্মাণ করেছে। যার ফলে অল্প বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কালিগঞ্জ বাজার মেইন রোড থেকে প্রায় একশ গজ রাস্তার অবস্থা নাজেহাল দেখে এলাকাবাসী একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন, যা দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে ৩-৪টি গ্রামের জন সাধারণ। কে দেখবে এমন দূর্ভোগ, দেখার যেন কেউ নেই।
জানা যায়, গত ১৭মে মঙ্গলবার ভারি বর্ষণে প্লাবিত হয় রাস্তার পূর্ব পাশের অনেক ঘর-বাড়ি। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে পিচ রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে রাস্তা ভাঙ্গন সহ ছাত্র-ছাত্রী, এলাকাবাসী যাতায়াতে বিগ্নতা সৃষ্টি হয়। অনেকের পুকুর ডুবে মাছ বের হয়ে গেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান। এব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের উধ্বর্তন মহলে একাধীকবার আবেদন করেও কোন ফল না পাওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত কিছুদিন পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম সরজমিন পরিদর্শন করে কাজের উদ্যোগ গ্রহন করতে ইউপি চেয়ারম্যান আবূ জাফর মোঃ রায়হানকে কাজের জন্য একটি বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জকিগঞ্জ বার্তাকে জানান, এখন কোন প্রকল্প হাতে নেই। চলতি মাসেই একটি প্রকল্প আসার কথা, আসলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে কালিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এ রাস্তায় আগামী ইউপি নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের কয়েকজন মেম্বার পদপ্রার্থীরা কিছু ভাঙ্গা ইট ফেলায় কিছুটা হলেও যাতায়াতের সুযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
এলাকার মুরব্বিরা জানান, এক সময় ঐ খালটি মরই খাল থেকে সুরমা নদীতে সংযোক্ত ছিলো। পরে তা বরাট করে খালটি অনেকটা নিঃশপ্রাণ করলেও মাতারগ্রাম ও খলাদাপনিয়া মৌজার প্রায় দুই হাজার একর ফসলি জমির বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একটি মাত্র পথ ছিলো মরহুম আব্দুল গনি মিয়ার বাড়ি সামনে থেকে মরহুম আব্দুল হান্নান (হানই মিয়া) সাহেবের বাড়ির সামনে পাকা ড্রেইন হয়ে মরইখালে সংযোক্ত খালে দিয়ে। যা দিয়ে কোনভাবে পানি নিস্কাশন হয়েছিলো। কিন্তু এখন, রাতে বৃষ্টি হলে সকালে বন্যা!