গ্রাহকের অজান্তে সিম নিবন্ধন হচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০০:৪৮,অপরাহ্ন ২৬ মে ২০১৬ | সংবাদটি ৮৩৩ বার পঠিত
তিন ধাপে এ অভিযোগ সমাধান করা হবে জানিয়ে বলা হয়, ‘অপারেটরদের অনিষ্পত্তিকৃত অভিযোগ কল সেন্টার গ্রহণ করবে, এরপর কল সেন্টার থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ বিটিআরসির অভিযোগ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত টাস্কফোর্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অপারেটরদের কাছে পাঠাবে। অপারেটর থেকে অভিযোগের সমাধান ও সর্বশেষ অবস্থা গ্রাহককে জানানো হবে। অভিযোগ জানতে এই শর্ট কোড চালু করলেও ই-মেইল, ওয়েব বক্স বা লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়াও চালু থাকবে।
বিটিআরসির ডিজি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিকাশের দু’জন এজেন্ট ধরা পড়েছে। বিকাশ যে ধরনের কাজ করে ট্রানজেকশন হলে পিন কোড দরকার হয়, বিকাশ এই পিন কোড দেয়। মোবাইল অপারেটরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তার মতে, ট্রানজেকশন পিন কোড ছাড়া সম্ভব নয়, এই এজেন্ট গ্রাহকের অসাবধানতার জন্য পিন কোড জেনেছে পরবর্তী সময় গ্রাহকের সিমটাকে প্রতিস্থাপন করেছে।
বারী বলেন, ‘যে গ্রাহক অভিযোগ করেছেন তার সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা ছিল না। এজেন্টের পক্ষে তা রিপ্লেস করা সম্ভব ছিল, এখানে উল্লেখ করতে চাই, বিদ্যমান আইনে সিম রিপ্লেস হলে ৪৮ ঘণ্টা বিকাশ সার্ভিস বন্ধ থাকে, যাতে বিকাশ সার্ভিস যারা দেয় তারা এটাকে নিবন্ধন করে নিতে পারে। আমাদের ধারণা, বিকাশের সহায়তা ছাড়া এ কাজ করা সম্ভব ছিল না।’
ব্রিগেডিয়ার বারী বলেছেন, অনিশ্চিত সংযোগ ১৮ মাস পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। এরপর অপারেটররা চাইলে সেসব সংযোগ বিক্রি করে দিতে পারবে। আনরেজিস্টার্ড সিম কেনার জন্য সিমের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় আশুলিয়ায়ও একটি অনিয়মের খবর আমাদের কাছে এসেছে। আশুলিয়ায় একজন এজেন্ট ও রিটেইলার একই ব্যক্তির নামে একাধিক সিম নিবন্ধন করে নিয়েছিলেন। পরে আমরা সেটি অ্যাড্রেস করেছি। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কাস্টমারদেরও তিনি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। ংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ৩১ মে’র পর সময় আর বাড়ছে না। তাই সবাইকে এখনি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। তারপর টানা দু’মাস আনরেজিস্টার্ড সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকার সময় ৩১ মে’র মধ্যে নিবন্ধিত সংযোগগুলোর মূল মালিকের ন্যাশনাল আইডির সঙ্গে সংযোগগুলো মিলিয়ে দেখা হবে। এ সময় কারও নামে অন্যের সংযোগ রেজিস্ট্রেশন হলে তা সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ঠিক করা যাবে।
শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বুধবার পর্যন্ত ৯ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক তাদের সংযোগ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এখনও তিন কোটির বেশি গ্রাহক নিবন্ধনের বাইরে রয়েছেন। তারা যেন দ্রুত নিবন্ধন করে নেন সে জন্য সবারই উদ্যোগী হতে হবে। অনুষ্ঠানে গ্রাহকের অভিযোগ ও কোয়ারির জবাব দেয়ার জন্য ‘২৮৭২’ শট কোড চালু করা হয়েছে। আগামী তিস সপ্তাহের মধ্যে এ জন্য একটি ট্যারিফও ঠিক করবে বিটিআরসি। এ শট কোর্ডে অভিযোগ জানানো যাবে।
– See more at: http://www.jugantor.com/online/national/2016/05/26/14135#sthash.U2UMwVMs.dpuf