রোজা স্বাস্থ্যেরও সহায়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২২:৪৪,অপরাহ্ন ২৮ জুন ২০১৬ | সংবাদটি ৯১৬ বার পঠিত
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে রোজা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি তো করেই না বরং উন্নতি করে। রোজা পালনে শরীরের ব্যাধি দূর হয়, মানবদেহ সুস্থতা লাভ করে। বছরে ন্যূনতম একবার মানুষের পেটের নিষ্কাশন প্রয়োজন। সারা মাস সিয়াম পালন করলে উত্তমরূপে পেটের দূষিত ক্ষতিকর পদার্থের নিষ্কাশন ঘটে। পরিমাণে বেশি খেলে শরীরে চর্বি জমে যায়, যা হৃদপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর কারণে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হয়। রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। এমনকি এতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। রমজানের রোজা এ ধরনের স্থুলকায় মানুষের জন্য বিরাট উপকার বয়ে আনে। দীর্ঘ এক মাস অভুক্ত থাকার অভ্যাস গড়ে তোলায় রক্তের কলোস্টরলের পরিমাণ কমে যায়। তাই হৃদরোগের তেমন ঝুঁকি থাকে না।
আমরা জানি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার দৈহিক গঠনপ্রকৃতি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখে। কিন্তু এর কাজের একটি সীমাবদ্ধতা আছে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারলে কাজে আত্মনিয়োগে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সতেজতা ফিরে পায়। তেমনি মানুষের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন-জিহ্বা, লালাগ্রন্থি’, হৃদপি-, কিডনি, পাকস্থলি, কোষ, লিভার, প্লিহা, মূত্রথলী প্রভৃতিরও কাজের একটা পরিমাণ ও সীমাবদ্ধতা আছে। এগুলোর বিশ্রাম বা বিরতির প্রয়োজন পড়ে। পুরো একমাস রোজা রাখায় ওই সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দৈনিক প্রায় ৫/৬ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পায়। ফলে পরবর্তী সময়ে এগুলো আরো শক্তি নিয়ে মানবদেহে কাজ করতে পারে।
ধূমপায়ীদের জন্য রোজা বেশ কষ্টকর মনে হলেও স্বাস্থ্যগত অনেক উপকার রয়েছে। প্রতিবার ধূমপান করার পর ফুসফুসে একটি কালো দাগ পড়ে। এ দাগের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এক সময় ফুসফুস ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এর থেকে জন্ম নেয় নানা জটিল রোগ। রমজানে ধূমপানের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এর আশঙ্কা কম থাকে। এ ছাড়া যারা ধূমপান পরিত্যাগ করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্যও রোজা বিরাট একটি সুযোগ এনে দেয়। অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। রোজায় এ সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়ে যায়। রমজানে শরবত, পানীয় ও তরল খাদ্যের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষণাকেন্দ্র অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে রোজার ওপর গবেষণা করে দেখেছেন যে, রোজা মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্থতাসহ মানসিক শান্তি ও প্রবৃদ্ধির অপরিহার্য নিয়ামক। সব মিলিয়ে রোজা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং উপকারী। জহির উদ্দিন বাবর