বন্ধুত্বের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ…
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৪:০৬,অপরাহ্ন ০৩ জুলাই ২০১৬ | সংবাদটি ৫৮২ বার পঠিত
জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সন্ত্রাসীরা তাকে চলে যেতেও বলেছেন। কিন্তু দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে যেতে অস্বীকৃতি জানান। আর এজন্যই গুলশানের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ দিতে হয়েছে ফারাজ হোসেনকে।
জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজনের বক্তব্য নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস (২ জুলাই) এই সংবাদ প্রকাশ করে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জঙ্গিরা ফারাজকে মুক্তি দেয়। তারা তাকে চলে যেতে বলে। তার সঙ্গে থাকা অন্য বাংলাদেশীরাও বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফারাজকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বারবার ডাকতে থাকেন।
ফারাজ বলেন, আমার এই দুই বন্ধুর কী হবে? জঙ্গিরা বলে, ওদের ছাড়া হবে না। তখন ফারাজ বলেন, দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে আমি যাব না। পরের দিন ফারাজ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়।
আত্মীয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শুধু বন্ধুদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে নিজে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চাননি বলে ফারাজ থেকে গিয়েছিলেন। বন্ধুত্বের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।
উল্লেখ্য, ফারাজ আইয়াজ হোসেন (২০) আমেরিকার আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন। আগস্টে তার আবার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রেই।
তাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ঢাকার মেয়ে অবিন্তা কবির। যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। পিতার কর্মসূত্রে ঢাকায় ফারাজদের সঙ্গে একই স্কুলে পড়েছিলেন তিনি। এই তিনজন তাই ছিলেন পরস্পরের বন্ধু।
তারুশি একটা শিক্ষানবিশ বৃত্তি পেয়েছেন, বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকায় কাজ করতে হবে। সে জন্যই ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় তিন বন্ধু নিজেদের মধ্যে দেখা করার জন্য গিয়েছিলেন গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। সেখানে জঙ্গিরা আক্রমণ করে বসে। পরে তাদের তিনজনের লাশ পাওয়া যায়।