শোলাকিয়ায় হামলার আগের দিন জিডি করেন আবিরের বাবা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৮:০২,অপরাহ্ন ০৯ জুলাই ২০১৬ | সংবাদটি ৪৪২ বার পঠিত
শোলাকিয়া ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকিতে পুলিশে সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত যুবক আবির রহমান (২৩) আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। হামলার দিনই আবিরের বাবা সিরাজুল ইসলাম তার ‘নিখোঁজের’ বিষয়ে ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
শুক্রবার যুবকের পরিচয় প্রকাশের সময় সিরাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। ভাটার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল মুত্তাকিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন (বুধবার) সন্ধ্যায় সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে দাবি করে থানায় একটি জিডি করেছেন।’
এর আগে বিকালে পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, নিহত যুবক আবির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৪ রোডের একটি বাসায় থাকতেন (হাউজ ৫১/এ)। তিনি গত ১ মার্চ নিখোঁজ হন। নিখোঁজ সংক্রান্ত ভাটারা থানায় তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ঈদের আগের দিন একটি জিডি করেন। জিডি নম্বর ২৯৪ (৬-৭-২০১৬)।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত আবির কুমিল্লার দেবিদ্বারের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র।
বৃহস্পতিবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের পথে নিরাপত্তা চৌকিতে তল্লাশির সময় জঙ্গিরা কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যদের ওপর বোমা হামলা চালায়। এসময় পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়। অন্যরা এগিয়ে এলে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় জঙ্গিদলের এক সদস্য। মৃত্যুর ১৮ ঘণ্টা পর জানা যায় হামলাকারী আবির রহমান।
আনোয়ার হোসেন খান আরও জানান, নিহত ‘সন্ত্রাসী’ আবিরের মরদেহ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।