করোনা আতঙ্কে জনতা কার্ফুর পর সোম-মঙ্গলেও বন্ধ আসাম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৫:০৮,অপরাহ্ন ২৩ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ১৫৩০ বার পঠিত
তাজ উদ্দিন : শিলচর, আসাম : ২৩ ফেব্রুয়ারি : বিশ্ব মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে গোটা ভারতও। ব্যতিক্রম নয় প্রান্তিক রাজ্য আসাম। আর এই আতঙ্কের পরিবেশে রবিবার পালন করা হল জনতা কার্ফু। এতে দেশের জনতা গোটা দিন নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছেন। জনতা কার্ফু না হলেও সোম ও মঙ্গলবার অতি প্রয়োজনীয় সেবা ছাড়া বাকি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে আসাম সরকার। ফলে আজও জনজীবন প্রায় স্তব্ধ ছিল।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে আসামের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাণঘাতী মহামারী কোভিড ১৯ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য রাজ্যের সীমানাও সিল করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব সরকারি, বেসরকারী স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বন্ধ থাকছে।
সম্প্রতি রাজ্যটির যোরহাট শহরে একটি চার বছর বয়সের মেয়ের শরীরে করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়া গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা শেষে মেয়েটি করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। মেয়েটি বিহার রাজ্যে বেড়াতে গিয়েছিল। এবং ট্রেনে ফেরত আসে। ট্রেনযাত্রায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা থাকায় গোটা ভারতে মার্চ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলিতে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না।
দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর এখন পুরো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় থার্মাল চেকিংয়ের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা চলছে। এছাড়া প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে, সাংবাদপত্র কার্যালয়ে, টেলিভিশন দপ্তরে, থানায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানের সামনে হ্যান্ড ওয়াশ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। এসব ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
এদিকে, রবিবার জনতা কার্ফুর দিন বিকেল পাঁচটায় তালি বাজিয়ে জরুরিকালীন পরিষেবায় জড়িতদের উৎসাহ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অনেক বিজেপি সমর্থক নির্বোধের মতো আচরণ করেছে। তারা কাঁসি, ঢোল, ঘণ্টি, করতাল বাজিয়ে মিছিল সহযোগে বিজেপি আর নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ ধ্বনি দিতে থাকে। এতে সে উদ্দেশ্য নিয়ে সবাইকে দিনব্যাপী স্বেচ্ছা গৃহবন্দি থাকার কথা বলা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যটাই মাটি হয়ে যায়। এসব কার্যকলাপ করোনা সংক্রমণ বাড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করেছে। তবে এখনও বিপদের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪১০ জন। তাদের মধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।