নলকুপের পানিতে আর্সেনিক; ঝুঁকিতে দেশের ১২ শতাংশ মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৪:৪৯,অপরাহ্ন ২৫ জুন ২০১৬ | সংবাদটি ৬৫৭ বার পঠিত
বর্তমানে বাংলাদেশের ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৩ সালে দেশের ২৭১ উপজেলার ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫ হাজার নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত (৫০ পিপিবি’র উপরে) আর্সেনিক পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সেই সময়ে ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে আর্সেনিক ঝুঁকিতে ছিল।
তিনি বলেন, আর্সেনিক ঝুঁকিতে থাকা জনসাধারণকে রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার। পল্লী এলাকায় প্রতি ৮৮ জনের জন্য ১টি পানির উৎস নিশ্চিত হয়েছে। পানি সরবরাহ ক্ষমতা ৮২ শতাংশ থেকে ৮৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ এর বেশি গ্রামে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংসদকে মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ পানির উৎস স্থাপন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। এর মধ্যে আর্সেনিক সমস্যার মধ্যে থাকা এলাকায় স্থাপন করা হয়েছ ২ লাখ ১০ হাজার পানির উৎস। এর পাশাপাশি ১ লাখ ৫৭ হাজার পানির উৎসের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে গ্রামীণ জনগণের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ‘ভিলেজ ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে বিভিন্ন ধরনের ৬৩ হাজার নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ রুরাল ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। ওই প্রকল্পে সার্বিক আর্সেনিক কবলিত ইউনিয়নগুলোকে অগ্রাধিকার প্রদান দিয়ে আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকায় ৩৭টি রুরাল পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম এবং ১৪ হাজারটি পয়েন্ট ওয়াটারের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে ‘আর্সেনিক রিস্ক রিডাকশন প্রজেক্ট ফর ওয়াটার সাপ্লাই’ শীর্ষক প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।