জিম্মি উদ্ধার অভিযানের ঘটনাক্রম
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৪:৩০,অপরাহ্ন ০২ জুলাই ২০১৬ | সংবাদটি ৯০৬ বার পঠিত
শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্তোরাঁয় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সোয়াতের সমন্বয়ে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযানে নারী-শিশু ও বিদেশীসহ অন্তত ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জন বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন।
একনজরে জিম্মি সংকটের ঘটনাক্রম তুলে ধরা হল-
সকাল ৭টা ৩০ মিনিট: রাতভর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখার পর যৌথ সেনা, নৌ, পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল গুলশানে অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়।
৭টা ৪৫ মিনিট: কমান্ডো বাহিনী অভিযান শুরু করে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলের সদস্যরা রেস্তোরাঁর ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
৮টা ১৫ মিনিট: রেস্তোরাঁ থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
৮টা ৫৫ মিনিট: ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা।
৯টা ১৫ মিনিট: অভিযান শেষ। কমান্ডো অভিযানের মধ্যদিয়ে ঢাকার গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়।
৯টা ২০ মিনিট: বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গুলশান। পরে জানানো হয়, বোমা নিস্ক্রিয় ইউনিটের সদস্যরা রেস্তোরাঁর ভেতরে পাওয়া অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।
৯টা ৩০ মিনিট: গুলশান এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান পুলিশ মহাপরিদর্শক।
১০টা : ৪ জন বিদেশীসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাবার কথা পুলিশ জানায়।
১১টা ৫০ মিনিট: অভিযানে সন্ত্রাসীদের ৬ জন নিহত এবং একজন ধরা পড়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিট: আইএসপিআরের ব্রিফিং থেকে জানানো হয়- বন্দুকধারীরা শুক্রবার রাতেই জিম্মি করে ২০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। শনিবার অভিযানের সময় ৬ বন্দুকধারীকে হত্যা ও একজনকে জীবিত আটক করা হয়।
এ ছাড়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন শ্রীলংকান ও একজন জাপানী নাগরিক রয়েছন।