মেয়েকে নদীতে ফেলে দিলেন পাষণ্ড বাবা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৩:২৮,অপরাহ্ন ০২ জুলাই ২০১৬ | সংবাদটি ১৪৩৮ বার পঠিত
নতুন জুতা কিনে দেয়ার কথা বলে ভারতে ৬ বছরের এক শিশুকে নদীকে ফেলে দিলেন পাষণ্ড বাবা।
তবে, অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় একতা তুলশিরাম সাইনি নামের ওই শিশুটি এবং উদ্ধারের পর জানা যায় বাবাই তাকে দিল্লীর বাদলপুরে এক সেতুর উপর থেকে নদীতে নিক্ষেপ করেছিল। খবর এনডিটিভির।
প্রায় ১১ ঘণ্টা কচুরিপানার উপর ভেসে থাকার পর তার চিৎকার শুনে রমেশ ভইর (৩৫) নামে মোহন গ্রুপ নামে এক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষীর কল্যাণে মেয়েটি জীবন ফিরে পায়। ওই নিরাপত্তারক্ষী জানান, তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তা উলহাস নদীর তীরে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে টহল দেয়ার সময় তিনি একটি শিশুর আর্তচিৎকার শুনে সেতুর কাছে ছুটে যান।
সেখান থেকে তিনি দেখেন একটি ছোট শিশু কচুরিপানার উপর ভাসছে আর চিৎকার করছে। তৎক্ষনাৎ তিনি দমকল বাহিনী এবং পুলিশকে বিষয়টি জানান। এর ১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসলেও পুলিশ আসে পৌনে দুই ঘণ্টা পর।
পরে দমকল বাহিনীর লোকজন উদ্ধারের পর থানায় নিয়ে গেলে পুলিশকে সে জানায়, তার বাবা নতুন জুতা কিনে দেয়ার কথা বলে বুধবার রাত ৮টার দিকে সেতুটির উপর থেকে নদীতে ফেলে দেন। এ ঘটনায় ভর্তকনগর থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পাষণ্ড ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ খুঁজছে। তাতে আটক করা গেলে মেয়েকে হত্যা চেষ্টার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লীর কুলগাঁওয়ের বাদলপুর এলাকার দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা ভগবত সোননে গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি একটি ফোন কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন। ২০ মিনিটের অভিযানে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে একতাকে না পেয়ে তার মা বুধবার রাতেই থারায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।