গোলাপগঞ্জে ইনজেকশন পুশ করে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০১:৪০,অপরাহ্ন ১৪ জুলাই ২০১৬ | সংবাদটি ১৯৪৩ বার পঠিত
শরীফগঞ্জ ইউপির ইসলামপুর গ্রামে সোমবার দিনগত রাতে কোন একসময় এঘটনা ঘটে। বুধবার বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পেরেছেন।
পাষন্ডরা শুধু ধর্ষণ করে কান্ত হয়নি নির্যাতিতার চুল কেটে দিয়েছে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে। বর্তমানে নির্যাতিতা সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ওসিসি সেন্টারে) চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্বজনদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্যাতিতা সুস্থ হয়ে না উঠা পর্যন্ত বিস্তারীত কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতা বাদী হয়ে দুইজনের নাম উলেখ করে বুধবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (০৮(০৭)১৬) দায়ের করেছেন। পুলিশ রুবেল নামে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে।
নির্যাতিতার মামা ও থানা পুলিশ জানায় ওই ছাত্রী ২০১৫ সালে পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। ঘটনার দিন রাতে ৫-৬জন যুবক ঘরে ঢুকে তার বাম হাতে দ্রুত একটি ইনজেকশন পুশ করে। এর পর সে আর কিছু বলতে পারে না। তবে সে সুজন ও বাছির নামে দুইজনকে ছিনতে পেরেছে। তবে নির্যাতিতার মামা দুলাল মিয়া জানান তার ভাগ্নি এখনও অগোচালো কথা বলছে। পুরো সুস্থ হয়ে উঠলে বিস্তারিত জানা যাবে।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায় নির্যাতিতা সোমবার রাতে প্রতিদিনের মত খাবার মেয়ে নিজ শয়নকক্ষে একাকী ঘুমায়। পাশের কক্ষে ঘুমান বৃদ্ধ পিতামাতা ও ছোট ভাই। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে দেরীতে উঠতে দেখে বোনকে ডাকতে গিয়ে ছোটভাই অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলে চিৎকার দেয়। এসময় তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় কুশিয়ারা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ রুবেল নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে বলে ফাড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিজান জানান।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান বুধবার ওসিসির অভিযোগ পেয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠেছে।