ওসমানী বিমান বন্দর নিয়ে আর কত চল চাতুরি দেখবে সিলেটবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৫:৩৯,অপরাহ্ন ২২ এপ্রিল ২০১৬ | সংবাদটি ৩৬৯৭ বার পঠিত
রায়হান আহমেদ তপাদারঃ দীর্ঘ পাঁচ বছর অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও চালু হয়নি বাংলাদেশ বিমানের “লন্ডন-সিলেট-লন্ডন” রুটের সরাসরি ফ্লাইট। প্রবাসী বাংলা- দেশিরা বলছেন, এই রুটে ফ্লাইট চালু হলে কমবে যাত্রী হয়রানি, বাড়বে যাত্রী সংখ্যা। ঘন কুয়াশার অজুহাতে দুই হাজার এগারো সালের পনেরো ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যায় সিলেট লন্ডন ফ্লাইটটি। এরপর রিফুয়েলিংস্টেশন না থাকার কারণে এই রুটে আর বিমান চালু করা হয়নি। গত মার্চ মাসে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন চালু হলেও ফ্লাইট চালুর কোন নজির দেখা যাচ্ছে না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। অবিলম্বে এই রুটে ফ্লাইট চালুর জোর দাবি জানিয়েছে ট্রাভেল ব্যবসায়ীরা। হিলসাইড ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল খান বলেন, ‘আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী ও বিমান মন্ত্রণালয় থেকে অতি দ্রুত একটি উদ্যোগ নেবেন যাতে সিলেট থেকে লন্ডনের সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়। ‘লন্ডন-সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু করলে যাত্রী ভোগান্তি হ্রাস হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী সংখ্যা বাড়বে বলে জানালেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই রুট চালুর মধ্য দিয়ে দেশে ও প্রবাসে ব্যবসা বাণিজ্যের বিশেষ অগ্রগতি সম্ভব বলেও মনে করেন তারা। আল আমিন ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় যাত্রা অনেক দীর্ঘ ও যাত্রা বিরতিতে সমস্যা হয়। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলেই বিমান অনেক বেশি জনপ্রিয় হবে।ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের মেম্বারশিপ ডিরেক্টর মুনির আহমেদ বলেন, ‘সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে কেবল যে যাত্রীসেবা বাড়বে তাই কিন্তু নয়, এর ফলে বিশ্বের সঙ্গে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।’তবে প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি এই ফ্লাইট করে নাগাদ চালু হবে তা এখনো বলতে পারেননি নব নিযুক্ত কান্ট্রি ম্যানেজার। এদিকে ইউকে অ্যান্ড আয়ারল্যান্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কবে নাগাদ এটা চালু করা সম্ভব হবে তা এখনই বলতে পারছি না। কারণ, এটা সিলেট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিমান এবং সরকারের ওপর নির্ভর করছে। অন্যদিকে এই রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন, সদ্য বিদায়ী কান্ট্রি ম্যানেজার। এদিকে ইউকে অ্যান্ড আয়ারল্যান্ডের বিদায়ী কান্ট্রি ম্যানেজার আতিক রহমান চিশতি বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালুর ক্ষেত্রে আমি সর্বাত্মক সাহায্য করবো। লন্ডনগামী বিমানের অধিকাংশ যাত্রী সিলেটের। আর তাই এই ফ্লাইট চালু হলে সিলেটসহ পুরো বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের একটি নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন প্রবাসী দীর্ঘ দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকায় প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এদিকে সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়ে এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) গত রবিবার সিলেটে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। আটাব নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট-ঢাকা অভ্যন্তরিণ রুটেও ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ বিমান ঢাকা-লন্ডন ও ঢাকা-জেদ্দার যাত্রী হারাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু না হওয়ায় প্রবাসীরা নানা ভোগান্তিতে রয়েছেন।
দুই হাজার এগারো সালের পনেরো ডিসেম্বর সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট ঘন কুয়াশার অজুহাতে বন্ধ করা হয়। পরে এ নিয়ে সিলেট ও লন্ডনে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে দুই হাজার বার সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও তা হয়নি। বর্তমানে লন্ডন থেকে সিলেটে কয়েকটি ফ্লাইট আসলেও সিলেট থেকে লন্ডনে সরাসরি কোন ফ্লাইট যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের লোকজন ও প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সিলেটের যাত্রীরা ঢাকা হয়ে বিদেশে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। রফিকুল ইসলাম কামাল, সিলেট : অনেক অপেক্ষা ও লাগাতার আন্দোলনের পর সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয় গত এক এপ্রিল।কিন্তু ওইদিন ‘ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স’ এর একটি ফ্লাইট দুবাই থেকে সরাসরি সিলেটে অবতরণ করে এবং পরে যাত্রী নিয়ে ফের উড্ডয়ন করে। ফ্লাই দুবাইয়ের সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার ছাড়া বাকি পাঁচদিন সিলেটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল।কিন্তু এক এপ্রিলের পর গত ৩ দিন ফ্লাই দুবাইয়ের কোনো ফ্লাইট সিলেটে আসেনি। যে ফ্লাইট সিলেটে আসার কথা ছিল, তা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু, ঠিক কী কারণে ওসমানী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে না- তার কোনো কারণও স্পষ্ট করে উল্লেখ্য করেন নি।সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করণের উদ্যোগ নেয়া হয় ছিয়াননব্বই সালে।উনিশ শো আটান্নব্বই সালের বিশ ডিসেম্বর ওসমানী বিমানবন্দরকে দেশের তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করার ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে সিলেট লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সিলেট প্রবাসীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে সিলেট লন্ডন ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়ে এসোসিওয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।আটাব নেতৃবৃন্দ বলেন,সিলেট ঢাকা অভ্যন্তরিন রুটেও ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ বিমান ঢাকা লন্ডন ও ঢাকা জেদ্দার যাত্রী হারাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিলেট লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায় বিভিন্ন দেশের সিলেট প্রবাসীরা বিশেষ করে লন্ডন প্রবাসীরা নানা ভোগান্তিতে রয়েছেন।অন্যদিকে সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হওয়ার তিন দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল ফ্লাই দুবাই’র ফ্লাইট অবতরণ।বিমান কর্তৃপক্ষ আশা জাগিয়েও হতাশ করলো সিলেটবাসীকে।সিলেটবাসীর দীর্ঘ দিনের সেই স্বপ্ন কি তাহলে অধরাই থেকে যাবে।আমার জিজ্ঞাসা, কেন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের সিদ্ধান্তের পর বার বার বাতিল করা হয় কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই।আর এতেকরে সিলেট বাসীর মধ্যে এক হতাশার জন্ম দিয়েছে,যা পোষিযে নেওয়া কোন মতেই সম্ভব হচ্ছে না।আর তাইতো বার বার মনে প্রশনো জাগছে কে বা কাদের প্ররোচনায় এবং কাদের ষঢ়যন্ত্রে ওসমানী বিমান বন্দর নিয়ে এত টালবাহানা হচ্ছে, তা সিলেটবাসী জানতে চায়।আরও প্রশনো এখন সিলেটের শত শত ট্রাভেলস ব্যবসাযী ও লক্ষ লক্ষ প্রবাসী পরিবারের পক্ষ থেকে, কেন এবং কোন অপরাধে সিলেটবাসীকে এমন হতাশা ও দুর্ভোগে ফেলা হচ্ছে।শুধু তাই নয়, সিলেট পর্যটন কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন এতেকরে অন্যান্য বিমান চলাচল নিরুত্সাহিত হবে আর যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
আমাদের সিলেট ডটকম এর এক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ফ্লাই দুবাই’র ফ্লাইট অবতরণ বাতিলের পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী চক্রের বিরাট এক ষঢ়যন্ত্র।যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ, একটা বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক পর্যায় নিতে যতগুলি শর্তপুরণ দরকার হয় তার সবই সম্পন্ন হওয়ার পরও কেন বার বার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লন্ডন সিলেট বা সিলেট লন্ডন এমন কি অন্যান্য দেশেরও ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।আরও একাধিক সূএ টিক এমনটি জানিয়েছেন।তাদের সাথে সূর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নিয়ে বিরাট রকমের এক ষঢ়যন্ত্র কাজ করছে,এমন কি এখানে কিছু মানুষের স্বার্থও জড়িত,যার ফলে আজ সিলেটবাসীকে অবুঝ শিশুদের মত মিত্যা শান্তনা দিয়ে যাচ্ছেন বিমান কর্তৃপক্ষ।কিন্তু এভাবে আর কতদিন? সিলেটের প্রায় তিন লক্ষ মানুষ শুধু লন্ডনে বসবাস করেন।আরও কয়েক লক্ষ বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন।আর তাই বাংলাদেশে তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে, তা অস্বীকার করলে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে বই কি।
কে বা কারা এই ষঢ়যন্ত্র করছে তা চিহ্নিত করতে সরকারের পদক্ষেপ একান্ত জরুরী বলে স্থানিয় সিলেটবাসী এবং সিলেট প্রবাসীদের একান্ত দাবি।এদিকে ওসমানী বিমান কর্তৃপক্ষ নিজেদের সামর্থ্য থাকা সত্বেও অতিরিক্ত বোঝা বাড়াতে চাচ্ছেন না বলে তারা ফ্লাই দুবাই এর অবতরণ বাতিল করেছে বলে অপর আরেকটি সূএ জানিয়েছে।তারা আরও বলেছেন,”গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং”সংক্রান্ত জটিলতায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।কর্তৃপক্ষের এমন নেক্কারজনক বক্তব্য শুনে সিলেটবাসী আরও ক্ষুব্দ হয়েছেন।আমাদের জিজ্ঞাসা হচ্ছে, রিফুয়েলিংসিষ্টেম করার পূর্বে এমন অজুহাত বা সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কেন কিছু বলা হলো না।এতেই কি বুঝায় না যে, এখানে কোন রহস্য ও ষঢ়যন্ত্র নিহীত আছে।আর ষঢ়যন্ত্র থেকে ফ্লাই দুবাইসহ আন্তর্জাতিক সবগুলো ফ্লাইট সচল রাখতে সিলেট বাসীরা মাননীয় সরকারের অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।তারা আরও জানিয়েছেন ভবিষ্যতেও সিলেট থেকে আন্তর্জাতিক কোন ফ্লাইট যাতে সচল না হয় সে জন্যও নানাভাবে ষঢ়যন্ত্র করে যাচ্ছে।সিলেট বাসীর ধারণা,তাদের ষঢ়যন্ত্রেরই অংশ হতে পারে চলমান ফ্লাই দুবাই বা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়া।
অতীতে সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরে নামে মাএ একটি ফ্লাইট ছাড়া অন্য কোন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়নি।আন্তর্জাতিক নামটি ছিল শুধু কাগজে কলমেই।তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাঙ্খিত একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অর্থাত্ ফ্লাই দুবাই অবতরণ করে।আর এই অবতরণের মধ্য দিয়ে যেন আকাশের চাঁদ ধরাতে পান সিলেটের প্রবাসীরা।অথচ স্বপনের এই যাত্রা আবারও স্বপনের হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে ।তাও এই স্বপনো একবার শুধু ভাঙ্গেনি,বার বার ভেঙ্গেছে।তাতে করে এটাই কি প্রমাণিত হচ্ছে না যে,এর পিছনে কোন এক স্বার্থান্নেশি মহল কাজ করছে।বিমান বন্দর সুত্রে জানাগেছে,ওসমানী বিমান বন্দরে ফ্লাই দুবাই-র গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের অনুমতি নেই।আরও বলা হচ্ছে,বিমান ছাড়া একমাত্র রিজেন্ট এয়ারেই এই অনুমতি রয়েছে।আর রিজেন্টের অনুমতি নিয়েই গ্রাউন্ড সুবিধা নিতে যাচ্ছে ফ্লাই দুবাই।এতেই নাকি বেঁকে বসেছেন বিমান কর্তৃপক্ষ।এসব তৈরি করা যুক্তি সিলেটবাসী আর শুনতে চায় না।আমাদের সাথে একমত পোষণ করে সিলেটের সুশিল সমাজ ও পর্যটন কর্তৃপক্ষ বলেছেন,
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করে পরের দিন বন্ধ করে দেওয়া রহস্যজনক ও ষঢ়যন্ত্রমুলক।এটি সিলেটের সাথে কোন ষঢ়যন্ত্র হতে পারে বলে সিলেটবাসীর ধারণা।নতুবা একটার পর একটা অজুহাত দেখিয়ে ফ্লাইট চালু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কেন।তারা বলেন, ওসমানী বিমান বন্দরে যেখানে সাতশত সাতাত্তর বোয়িঙ বিমান অর্ধ সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে প্রতিনিয়ত নামে।কিন্তু সেখানে মাত্র একশত সাঁইত্রিশ জনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামতে অসুবিধা বা বাঁধা কথায়।তাও পরিস্কার নয় সিলেটবাসীর কাছে।
এদিকে ওসমানী বিমান বনদরের ম্যানেজার হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান; ওসমানী বিমান বন্দরে চারশো পঞ্চাশ জন যাত্রী নিয়ে নিয়মিত অবতরণ করছে বিমান।আর ফ্লাই দুবাই মাত্র একশত চুয়াত্তর জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট চালাচ্ছে।তাই এটি পরিচালনায় কোন সমস্যা নেই।তবে তাদের নিয়ম কানুন মেনেই আসতে হবে।ফ্লাই দুবাই-র সূত্রের দাবী,ওসমানী বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি আদর্শ ও উপযোগী স্থান।প্রয়োজনিয় সহযোগিতা পেলে এটি বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ততম বিমান বন্দরে পরিণত হবে।তার সাথে সাথে বিশ্বের সাথে যুগাযোগসহ আমদানি রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতির চাকা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।এদিকে বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন রিফুয়েলিং ষ্টেশন না থাকায় সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়নি।কিন্তু গত মার্চ মাসে ওসমানী বিমান বন্দরে এই ষ্টেশন নির্মান কাজ শেষ হয়।যার প্রেক্ষিতে মাএ এক দিন এখানে ফ্লাইট চালু থাকে।তার পরের দিন ই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এই ফ্লাইটগুলো ঢাকা থেকে পরিচালনা করা হয়।এ ক্ষেত্রে সিলেটের যাত্রীদেরকে বাসে কিংবা কানেকটিংফ্লাইটে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।কিন্তু আমাদের জিজ্ঞাসা, ওসমানী বিমান বন্দর নিয়ে যে নাটক হচ্ছে তার শেষ কোথায়।আমার বিশ্বাস এখানে কিছু অসাধু চক্র কাজ করছে এবং তারা চাচ্ছে না ওসমানী বিমান বন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকুক।এখানে উর্ধতন কর্মকর্তারা যেন, জেনে শুনে বিষ পান করছেন এমন কী তারা দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছেন।আর তাইতো একটার পর একটা অজুহাত দেখিয়ে ফ্লাইট বন্ধ করে যাচ্ছে।
ফ্লাই দুবাই এয়ার লাইসেন্সের সিলেট ষ্টেশনের আরেক ম্যানেজার মাসুম আহমদ জানান সিলেট কেন ফ্লাই দুবাই-র ফ্লাইট আসছে না, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং তাকে এ ব্যয়াপারে কিছু জানানোও হয়নি।শুধু তিনি সিলেটের যাত্রীদের বাসে ও কানেক্টিব ফ্লাইটে করে ঢাকা পাঠাচ্ছেন।ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিনও এমন মন্তব্য করেছেন।তবে কে জানে এসবের সঠিক তত্ত্ব।এটাই এখন সিলেটবাসীর জিজ্ঞাসা ? অন্যদিকে এয়ার আরাবিয়া এয়ার লাইন্সের সরাসরি ফ্লাইটও সিলেট থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।কিন্তু ফ্লাই দুবাই-র ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এয়ার আরাবিয়ার ফ্লাইট নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।এসবের পিছনে স্বার্থান্নেশী কিছু কুচক্রীমহল কাজ করছে বলে আজ কতগুলো বছর অতিক্রম হয়ে গেল কিন্তু তার কোন সঠিক সমাধান হয়নি।পরিশেষে আমার ও সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে বিশেষ অনুরোধ থাকবে মাননীয় সরকার ও সিলেটের গর্ব মাননীয় অর্থমন্ত্রীর প্রতি, আপনারা সিলেট প্রবাসীদের কথা এবংসিলেটের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় এনে এ ব্যয়াপারে একটি তদন্ত কোমিটি গঠন সাপেক্ষে এর সুরাহা করার আহ্বান জানিয়ে আমি বিদায় চাইছি।