- প্রচ্ছদ
- পাঠকের কলাম
- স্বরনীয়-বরনীয় স্মৃতিতে দু’জন…
স্বরনীয়-বরনীয় স্মৃতিতে দু’জন…
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০৮:২৫,অপরাহ্ন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ২২৬১ বার পঠিত
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জকিগঞ্জ উপজেলার
প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম প্রিয় আবুল বাইছ ভাইয়ের স্মরণে কিছু কথা:
বিগত ১১ জুন (২০২১) শুক্রবার জনাব আবুল বাইছ ভাই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে মহান প্রভুর ডাকে সাঁড়া দিয়ে পরপারে চলে গেলেন। দেখতে দেখতে তিন মাস অতিবাহিত হয়ে গেলো। উনার জীবনী নিয়ে কিছু লিখবো বলে ভাবছিলাম। কিন্তু আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। উনার দুটি Major অপারেশন হয়েছে। ২০১৪ ইং ৬ ই এপ্রিল থেকে ২২ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৮ মাস হাসপাতালে ছিলেন। প্রথম একমাস Life Support এর মধ্যে থাকতে হয়েছিলো। অপারেশনের পর থেকে স্বাভাবিক ভাবে হাটা বা চলাফেরা করতে পারেন না। ডাক্তার দেখাতে বা প্রয়োজনে বাহিরে গেলে হুইল চেয়ারের সাহায্যে নিয়ে যেতে হয়। তাই Mainly সাংসারীক ও কিছুটা সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রথমত সময়াভাবে এবং দ্বিতীয়ত লেখার মত তেমন লেখনীশক্তি না থাকার কারণে Like Comment ইত্যাদি ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনও বড় কোন পোস্ট দেয়া হয়নি। তাই আজ জনাব প্রিয় আবুল বাইছ ভাইয়ের প্রয়াণে কলমটা আটকাতে পারলাম না।
আমার শ্রদ্ধেয় আব্বা জনাব মো. আছদ্দর আলী (ছই মিয়া) বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৭৩ ইং থেকে শুরু করে ২০০৭ ইং পর্যন্ত ৬ বার জনাব আবুল বাইছ ভাইয়ের সাথে ইউ/পি নির্বচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ ইং পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে গণিপুর নিবাসী জনাব সোজাত বক্ত চৌধুরী (ঝনকি মিয়া) সাহেব চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমার আব্বা জনাব আছদ্দর আলী (ছই মিয়া) ২য় এরং জনাব আবুল বাইছ ভাই ৩য় অবস্থানে ছিলেন। তারপর ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৭ ইং পর্যন্ত পর পর দুই মেয়াদে আমার আব্বা ৬নং সুলতানপুর ইউ/পির চেয়ারম্যান নির্বাচিত ও জনাব আবুল বাইছ ভাই ২য় স্থানে ছিলেন।
উনাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা থাকলেও কোন প্রতিহিংসা ছিলনা। জনাব বাইছ ভাই আব্বাকে চাচা বলে ডাকতেন এবং খুবই সম্মান করতেন। কেননা আমার আব্বা ছই মিয়া সাহেব পাকিস্থান আমলে শরপঞ্চ ছিলেন। তখন উনার বয়স খুব কম ছিলো বলে (সম্ভবত ২০ এর নিচে) লোকজন বাচ্ছা শরপঞ্চ বলে সম্বোধন করতো। আমার আব্বা বাইছ ভাইয়ের আব্বা জনাব মোঃ মছদ্দর আলী (পাখী মিয়া) সাহেবের সাথে পাকিস্তান আমলে ইউ/পি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। তখনকার সময়ে ৯ জন মেম্বারের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতেন। এখনকার মত জনসাধারণের ভোট দেয়ার নিয়ম ছিলো না। জনাব মোঃ মছদ্দর আলী (পাখী মিয়া) সাহেব ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৭ ইং পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি শেষ বয়সে তখনকার জনপ্রতিনিধিদেরকে বলেছিলেন যে যদি মান ইজ্জত নিয়ে থাকতে চাও, তবে ছই মিয়াকে তোমাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে, যা আমি মুরব্বিয়ানদের কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছিল। আব্বার কাছে খাদিমান নিবাসী মরহুম জনাব শুয়া মিয়া মেম্বার চাচা, পূর্ব মজলী নিবাসী প্রয়াত জনাব শুয়াইবুর রহমান পোষ্ট মাস্টার সাহেব এবং গঙ্গাজল নিবাসী প্রয়াত আমাদের শফু চাচা (যিনি আব্বার সুখ-দুঃখের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন) সহ অনেকে আসতেন। আমি তামাকের মধ্যে টিকি জ্বেলে দিয়ে উনাদেরকে হুক্কা টানার ব্যবস্থা এবং চায়ের আসর জমানোর মাধ্যমে পুরানো দিনের গল্প ও বিভিন্ন কাহিনী আগ্রহ সহকারে শুনে আনন্দ উপভোগ করতাম।
যাই হউক আমাদের গঙ্গাজল বাজার সংলগ্ন সি.এন্ড.বি রোড থেকে হাজী তোরাব আলী রোড (আমার আব্বার দাদার নামানুসারে) নামে একটি রাস্তা আমাদের বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বের তিন মোহনা রাস্তা হয়ে বাড়ীর পশ্চিম দিক ঘেঁষে অনেকগুলি গ্রামের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে এই রাস্তার নামকরণ হয়েছে গঙ্গাঁজল রসুলপুর রাস্তা। অর্থাৎ আব্বা চেয়ারম্যান থাকা কালীন চারটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে পাকা রাস্তার প্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে দক্ষিণ দিকে আমাদের সুলতানপুর ইউ/পির গঙ্গাজল থেকে শুরু করে মধ্যখানে বারঠাকুরী ও কসকনকপুর ইউ/পি হয়ে উত্তর দিকে মানিকপুর ইউ/পির সুরমা নদী তিরবর্তী রসুলপুর গ্রামে (এখানে আমাদের নানাবাড়ী অবস্থিত) গিয়ে সমাপ্ত হওয়ার কারণে গঙ্গাজল রসুলপুর রাস্তার নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
আমরা প্রতিবেশীরা এই তিন মোহনা রাস্তায় বসে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতাম। জনাব বাইছ ভাই যখন নির্বাচনী প্রচারের উদ্যেশ্যে এই রাস্তা দিয়ে আমাদের এলাকায় আসতেন, তখন উনাকে সালাম জানিয়ে কুশল বিনিময় করতাম। আমরা উনাকে যথার্থ সম্মান করতাম এবং উনিও খুবই স্নেহ করতেন। চা পান করে যাবেন বললে খুবই সাদরে গ্রহণ করতেন। এভাবে যখনই আমাদের এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে আসতেন প্রায়ই চাচার দোয়া নিয়ে যাই বলে আব্বার সঙ্গে দেখা করে চা নাস্তা করে যেতেন। এমনকি বিকালের হাটে চায়ের টেবিলে বসে গল্প গুজব চলতো। এনিয়ে ভোটারদের মধ্যে চাপাক্ষোভ লক্ষ করা যেতো এই ভেবে যে, আমাদের মধ্যে যত হট্টগুল মারামারি। উনারা দিব্যি বসে চা খাচ্ছেন-গল্প করছেন।
আগেকার দিনে যারাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতেন সবার মধ্যে একটা শ্রদ্ধা ও আত্বসম্মান বোধ কাজ করতো। একটা বিষয় না বললেই নয়। হাজারীচক নিবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী প্রয়াত জনাব আব্দুল মন্নান চাচা, আব্বা যখন ১৯৭৭ সালে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তখন তিনি এই পরিষদের সদস্য ছিলেন।
১৯৮৪ সালে আব্বা যখন দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলেন তখন জনাব মন্নান চাচাও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। পরবর্তীতে তিনি চাক্কা প্রতীক নিয়ে উপজেলা নির্বাচন করেছিলেন। জাপান থেকে গাড়ী আমদানীর ব্যবসা ছিলো বিধায় ঢাকায় থাকতেন। যখনই গ্রামে আসতেন উনার প্রাইভেটকার নিয়ে আমাদের বাড়ী এসে আব্বার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে যেতেন। আব্বাকে জনাব মন্নান চাচা উস্তাদ বলে খুবই সমীহ করতেন। লোকজন জিজ্ঞাসা করলে বলতেন যে, আমার উস্তাদকে দেখতে যাচ্ছি বা দেখে আসতেছি।
১৯৮৭ সালের শেষ দিকে আমি সৌদি আরব চলে যাই। তারপর ১৯৮৮ ইং এর নির্বাচনে জনাব আবুল বাইছ ভাই আব্বাকে পরাজিত করে প্রথম বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। সেই ছোট্ট বেলা থেকে পারিবারীক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যাপারে জানার কৌতুহল থেকে সৌদি থাকাকালীন আব্বার লিখা চিটিতে অবগত হয়েছি যে, ১৯৮৮ ইং তে জনাব বাইছ ভাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অফিসিয়াল ও নন অফিসিয়াল বিভিন্ন পারপাস এ আব্বার পরামর্শ নিয়ে কাজ করতেন। তিনিও অত্যন্ত আন্তরীকতার সাথে সহযোগীতা করতেন।
১৯৯৩ ইং তে আব্বা তৃতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। গণিপুর নিবাসী জনাব লোকমাণ আহমদ চৌধুরী লোকমাণ ভাই (বর্তমান আওয়ামীলীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান) ২য় এবং জনাব বাইছ ভাই ৩য় অবস্থানে ছিলেন। লোকমাণ ভাইও আব্বাকে যথাযোগ্য মূল্যায়ন ও শ্রদ্ধা করতেন।
১৯৯৮ ইং তে ঘেছুয়া নিবাসী জনাব আলহাজ্ব বুরহান উদ্দীন সাহেব (বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল ছবুরের বড় ভাই) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আব্বা তখন প্রতিদ্বন্দিতা করেননি। পরোক্ষভাবে জনাব বাইছ ভাইয়ের সমর্থনে কাজ করেছেন।
২০০৩ ইং তে আব্বা জনাব বাইছ ভাইয়ের সাথে শেষবারের মত প্রতিদ্বন্দিতা করে ৪র্থ মেয়াদে তিনির শেষ এবং ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের ইতিহাসে সাধিনতা পরবর্তী সময়ে সপ্তম চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হলেন। উনাদের চাচা ভাতিজার সম্পর্কটা খুবই চমৎকার ছিল। জনাব বাইছ ভাই সর্বদা শ্রদ্ধার ভাব বজায় রেখে চলতেন। কখনও একে অন্যের বিরাগভাজন বা সম্পর্কের অবনতি হতে দেখিনি বা শুনিনি।
১৭ই জুলাই ২০১৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার প্রায় শত বছর বয়সে আব্বা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। পরদিন ১৮ই জুলাই রোজ শুক্রবার গঙ্গাজল মাদ্রাসা তথা ঈদগাহ মাটে বিশাল নামাজে জানাযার প্রাক্কালে জকিগঞ্জ থানার বিশিষ্ট লোকজন বক্তব্য রাখলেন। জনাব বাইছ ভাই-আর কার সাথে নির্বাচনে লড়বো, কার কাছে পরামর্শ ও সহযোগীতার জন্য আসবো ইত্যাদি আবেগাপ্লুত ও হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য রেখেছেন। আমার দুর্ভাগ্য ২০০৯ ইং তে ফ্যামিলি নিয়ে Spain আসার পর থেকে আর দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই আব্বার দাফণ কার্যে শরীক হতে না পারার বেদনাটা এখনও আমাকে পীড়া দেয়।
সদা হাস্ব্যজ্বল বাইছ ভাইয়ের মধ্যে অনেক গুণাবলী বিদ্যমান ছিলো। ছেলেবেলায় জনাব বাইছ ভাইয়ের দু/একটি বক্তব্য শুনার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি মর্মস্পর্শী বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে সহজে আপন করে নিতে পারতেন। খুবই ভদ্র স্বভাবের ও মিষ্টিভাষী লোক ছিলেন। কোনদিন কারো সাথে রাগ করে কথা বলতে দেখিনি।
বাইছ ভাই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন। পাকিস্তান আমলে ন্যাপ মোজাফফর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কুড়েঘর প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। তখনকার পাহাড়সম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামীলীগ এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করে সমস্ত পুর্ব পাকিস্থানে বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তসহ যে ৬ জনের নমিনেশন বাজেয়াপ্ত হয়নি, তাদের মধ্যে জকিগঞ্জ থানা তথা আমাদের ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের গর্ব জনাব মছদ্দর আলী (পাখী মিয়া) সাহেবের কৃতি সন্তান জনাব আবুল বাইছ ভাইও ছিলেন। তিনি নিজের প্রচারণা চালাতেন। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কখনও বিরুপ বা অশালীন মন্তব্য করতেন না। আমাদের বাইছ ভাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন কিন্তু সরকারী কোন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেননি।
His logic was that “I participate as a ‘FREEDOM FIGHTER’ in the war of 1971 for the Victory of my Mother Land, for my country, not for the CERTIFICATE. I Love my home land”. এই উদাহরণ থেকে উনার মহানুভবতার একটা বাস্তব চিত্র ফুটে উঠে। প্রিয় বাইছ ভাই আপনাকে মানুষ অনন্তকাল মনে রাখবে। জনগণ যে আপনাকে এতো ভালোবাসতো, থানা বাজার মাদ্রাসা ময়দানের স্মরণ কালের বৃহত্তম নামাজে জানাযায় তার প্রতিফলণ ঘটেছে।
আপনাকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আপনার অভাব কিছুতেই পুরণ হবার নয়। ‘কুল্লু নাফ্সীন যা ইকাতুল মাউত’ এই দ্রুব সত্যকে মেনে নিয়ে মহান রাব্বুল আল আমীনের দরবারে আপনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাতের জন্য কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করছি। ওপারে ভালো থাকবেন- প্রিয় বাইছ ভাই। ছোট দুটি পংক্তি লিখে সমাপ্তি টানছি-
“মরিয়াও মরে নাই
বাইছ ভাই আমার,
অমর হয়ে আছে
হৃদয়ে সবার”।
লেখক
আহমদ আছাদুর রহমান (ছাদ)
সভাপতি: জকিগঞ্জ প্রবাসী কল্যান পরিষদ
সাধারণ সম্পাদক: বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, স্পেন
সহ-সভাপতি: স্পেন আওয়ামীলীগ
সাবেক সহ-সভাপতি: গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশন ইন স্পেন।