জকিগঞ্জের অধ্যাপক ডা.ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী একজন আলোকিত স্বপ্নদ্রষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৪:৪৭,অপরাহ্ন ২২ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৮০ বার পঠিত
জকিগঞ্জ বার্তা
জকিগঞ্জের কৃতি সন্তান অধ্যাপক ডা. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী তার জন্মস্থান বারহাল ইউনিয়নের সমসখানি গ্রামকে আলোকিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি তার জন্মস্থানকে একটি মডেল এলাকা হিসাবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য সমসখানি গ্রামে তার নিজ ভূমিতে নিজস্ব অর্থায়নে পিতামাতার নামে শফিকুল হক চৌধুরী-আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নিজগ্রামে ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। বর্তমানে তার নিজস্ব ২ কেয়ার ভূমিতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।তিনি প্রবীনদের জন্য উনার নিজ বাড়িতে প্রবীন বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্টা করেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য তার অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় সমসখানি ভায়া মাইজগ্রাম পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। উক্ত সড়কে প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রীজ নির্মিত হয়েছে। তারই প্রচেষ্ঠায় সমসখানি গ্রামের ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি মসজিদ পুনঃনির্মান করা হয়েছে। অসহায়-অনাথ শিশু-কিশোরদের জন্য গ্রামে লতিফ মুজিবুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মানের করেন। নদীর ভাঙ্গন থেকে এলাকার মানুষের ঘর-বাড়ি কৃষি জমি রক্ষার লক্ষে তিনি নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ও প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন।
অধ্যাপক ডা, ফয়জুল ইসলাম চৌধুরীর প্রচেষ্ঠাই বারহাল কলেজ এমপিওভূক্তি হয়েছে। তার অর্থায়নে ইতিপূর্বে গ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, দরিদ্র লোকদের মধ্যে শীতবস্ত্র, অর্থ বিতরনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হচ্ছে। তারই প্রচেষ্ঠায় এলাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।তার এলাকাকে একটি মডেল এলাকা হিসাবে গড়ে তুলতে চান। শিক্ষার হার শতভাগে উন্নিত করা এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষির উন্নয়ন সাধনই তার জীবনের স্বপ্ন।
ডা, ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যাক্তি হয়েও তিনি তার শিকড়কে ভূলে জাননি। তিনি জন্মস্থানের মাটি ও মানুষের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের সমসখানি গ্রামের সন্তান অধ্যাপক ডা, ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। ইতিপূর্বে তিনি সোসাইটি অব মেডিসিন বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তার তিন ছেলে রয়েছে। এক ছেলে চিকিৎসক ও বাকিরা অধ্যয়নরত। এলাকার প্রতিটি ঘরে আলোকিত মানুষ গড়ে উঠলেই ডা, ফয়জুল ইসলাম চৌধুরীর স্বপ্ন ও প্রচেষ্ঠা সার্থক হবে।