আল্লামা বালাউটি ছাহেবের সান্নিধ্যে………
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৯:৩৩,অপরাহ্ন ২৫ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৬০ বার পঠিত
বছর-তারিখ বা সাল কোনটি’ই এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না। তবে বেশ কয়েকবছর আগের কথা। একদিন আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটির সান্নিধ্যে কিছু সময় ছিলাম। হুজুর বাড়ির ভেতরে থাকায় খানকা ঘরের (বাশ-বেতের ঘর) টেবিলে একটি পত্রিকা রেখে চলে আসি।অবশ্য তৎকালিন সময় সিলেটের বহুল প্রচারিত দৈনিক সিলেট সংলাপ সহ একাধিক প্রিন্ট পত্রিকায় কাজ করতাম।সেদিনের পত্রিকায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের উপর দীর্ঘ একটি নিউজ ছিলো ”ভাঙ্গছে নদী-কাদছে মানুষ”। তিনি আসার পর পরই টেবিলে রাখা পত্রিকাটি চোখ বুলালেন। বললেন পত্রিকা কে এখানে রেখেছেন। ডাকা হলো আমাকে। আমি বাহিরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করার পর বললেন, তুমি কি পত্রিকা রেখেছো? আমার নাম পরিচয় জানার পর বললেন তুমি মানুষের অনেক দোয়া পাবে। তোমার লেখা নদী ভাঙ্গন নিয়ে নিউজটি পড়েছি। ভালোই লেগেছে।বললেন এ পর্যন্ত কত মানুষ নি:স্ব হয়েছে।হাজার হাজার মানুষ ভিটে মাটি হারিয়ে চরম কষ্টে আছে। কিছু সময় এ বিষয়ে কথা বলার পর আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিলেন এগিয়ে যাও। সব সময় তোমার জন্য দোয়া থাকবে।
এর পর থেকেই মাঝে মধ্যে হুজুরের বাড়িতে গেলে দেখা হতো।ক্রমান্বয়ে উনার ছেলে দু’একজনের সাথেও অনেকটা ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। কোনো অনুষ্ঠান হলেই দাওয়াত দিতেন।বাড়িতে গেলেই হুজুরের সাথে কথা হতো। অত্যন্ত শান্ত, সুমিষ্ট ব্যবহার আর নসিহত আমার ভীষণ ভালো লাগতো।
সর্বোপরি বালাউটি ছাহেব ইন্তেকালের পর জানাযায় লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে তিনি ছিলেন সর্বস্থরের মানুষের কাছে বেশ জনপ্র্রিয়।
উনার ইন্তেকালে শুধু জকিগঞ্জ উপজেলা নয় সিলেট তথা দেশের লাখ লাখ মানুষ মানুষ শোকাহত হয়েছেন।
মহান আল্লাহ একজন দেশ বরেণ্য আলেম, আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি ছাহেব এর দরজা বুলন্দ করুন।
(এনামুল হক মুন্না, সাংবাদিক, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব)