ওদের কথা কেউ ভাবে না কারণ ওরা গরিব !
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৫:১৫,অপরাহ্ন ২৮ জুন ২০১৬ | সংবাদটি ৭৪৭৫ বার পঠিত
কথিত আছে, একবার গৌতম বুদ্ধের চিকিৎসায় জীবক তাঁকে কোন ওষুধ সেবন করতে না দিয়ে, শ্বেত পদ্মের মধ্যে ওষুধ রেখে তার ঘ্রাণের সাহায্যে এই জীবক তাঁকে সারিয়ে তোলেন।এভাবে বুদ্ধকে আরো কয়েকবার তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে সারিয়ে তোলেন।জীবকের মন্ত্র ছিল,অর্থ নয়-আর্ত, লোভ নয়-সেবা,প্রতিকারের দাওয়াই নয়-প্রতিরোধের ছবক।জীবকের কথা শুনে বুদ্ধ তাঁর অনুগামী সন্ন্যাসীদের রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ব্যায়াম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।অর্থ নয়-আর্ত,লোভ নয়-সেবা, প্রতিকারের দাওয়াই নয়-প্রতিরোধের ছবক’’এই দফাগুলো আমাদের এই যুগে কতটুকু মানানসই?এই যুগের কণ্ঠ- শিল্পী নচিকেতা তার একটি গানে ডাক্তার সম্পর্কে অনেক কথা তুলে ধরেছেন।অনেকের মতে,সাধারণ মানুষের ‘মনের কথা’ তুলে ধরেছেন অনুপম উপমায়।ডা:ইব্রাহিম, ডা:নুরুল ইসলাম, ডা:এম আর খানদের মতো মহান সন্তানদের দেশে এই গান বড় বেমানান।সবখানের সবচিত্র এক-এমন নয় মোটেই।এখনো কারো চেম্বারে প্রবেশ করলেই অর্ধেক সুস্থ হয়ে যান রোগী।এমনকি সুদূর গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেক চিকিৎসক আছেন, যাঁরা সমাজের কাছে পূজনীয়৷যাঁদের অন্যত্র পাঠালে হয় প্রতিবাদ৷
উৎকৃষ্ট পেশা হল চিকিৎসা সেবা।এই পেশায় মানুষের কাছে যাওয়া, মনের মাঝে বসত গড়া, তাদের সেবা করার সুযোগ আছে।মানুষ কোনো কেনো চিকিৎসককে ভগবান বলেও ভাবেন,কারণ আপদে-বিপদে একজন প্রকৃত চিকিৎসক তাঁর পাশে থাকেন ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষার কথা না ভেবে৷ মানুষকে সুস্থ, শান্তিতে রাখার জন্য চিকিৎসকদের মূল্য কোনও কিছুতেই পরিমাপ করা যাবে না৷ চিকিৎসকগণ কত মানুষকে যে পুনঃজন্ম দিয়েছেন,তার শেষ নেই৷মানুষ যখন রোগাক্রান্ত হয়, মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে,তখন চিকিৎসার মাধ্যমেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চায়, আর সেই মানুষ চিকিৎসকের উছিলাতেই আরোগ্য হয়।রোগাগ্রস্ত অবস্থায় মানুষ অসহায় এবংদুর্বল থাকে।এই দুর্বল সময় চিকিৎসকই তার বড় অবলম্বন,বড় বন্ধু,তার অসহায়ের সহায়।সকলে কামনা করেন, ব্যবসায়িক ও পেশাদারি দৃষ্টির বাইরে যেন থাকে সহমর্মিতা ও আর্তের আবেদনে কাজ করার মানসিকতা৷ ধনী,দরিদ্র না ভেবে,রোগীর সুস্থতাই একমাত্র কাম্য হওয়া উচিত৷
তবে বর্তমান সময়টা বড় অদ্ভুত।চিকিৎসা ব্যবসার বাণিজ্যকরণে চারপাশে ছড়িয়ে গেছে৷ নিত্যনতুন কর্পোরেট হাসপাতাল চালু হচ্ছে৷ সঙ্গে প্যাকেজের হাতছানি৷ আমাদের চোখের সামনের চিত্র অনেকটা ভয়াবহই বলা যায়। বর্তমানে পত্র-পত্রিকায় চিকিৎসার ওপর যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা পড়ে গা শিউরে ওঠে। ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, অপারেশন করেও রোগী সুস্থ হয়নি বরং অবস্থার অবনতি, অপারেশনের পর রোগীর পেটে গজ ব্যান্ডেজ এমনকি কাঁচি রেখেই সেলাই,রোগীর সাথে ডাক্তারের দুর্ব্যবহার, চড়-থাপ্পর মারা,রোগীর স্বজনদের সাথে এমনকি সংবাদ সংগ্রহের কারণে সাংবাদিকদের লাথি, ঘুষি, আমরা এসব কিছুই ইলেক্ট্রনিক প্রচার মাধ্যমে দেখেছি।সরকারি হাসপাতালে রোগীর সাথে ডাক্তারের খারাপ আচরণ তো আছেই।একজন বড় দু:খের সাথে বলেছিলেন,ডাক্তার- দের একটি অংশ ভালো পোস্টিং-প্রমোশনের জন্য আজ মুজিব কোর্ট; কাল প্রিন্সকোর্ট-গগ- লস পরতেও দ্বিধা করেন না’।একবার তুলনা করুন,কোথায় সেই জীবনজয়ী জীবক আর কোথায় এই যুগে চিকিৎসক অবহেলা আর বাণিজ্যিকী করণের যেন এক ধরনের প্রতি যোগিতা।কে কার চেয়ে বেশি রোগী পাবেন আর কত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বাণিজ্যের মোহ তারা ভূলে যান রোগীর প্রকৃত অবস্থার কথা।তবে আমার জিজ্ঞাসা ডাক্তারী পেশা কী সেবা নাকি বাণিজ্য?
শিশু শ্রমের কথা বলতে গেলে বলতে হয় শিশুটা কাঁদছে কেন ক্ষুধার জালায়, ঘুম ভেঙ্গেছে এই দুখিনী বাংলাদেশের ব্যস্ত ফুটপাতে! কত কথা বলি আমরা মিটিং মিছিল আর বক্তৃতাতে,কত কথা বলি আমরা গল্প গানে আর কবিতাতে! আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”!হায়রে মানুষ মানবতা”!একটু ভাবো তাদের কথা”!ভবিষ্যতের পৃথিবীটা এই শিশুদের হাতে”!বড় বড় সভা বা সেমিনারে আমারা শুনে থাকি শিশুশ্রম বন্ধ করা হোক কই তা তো হচ্ছে না? শিশুরা ক্ষুধার জালায় কাঁদছে কেন তারা শিক্ষার আলো থেকে দূরে আছে? তাহলে শিশুকি তারা যারা বড় ঘরে জন্ম গ্রহন করে? শিশুকি তারা যারা বড় বড় স্কুলে পড়াশুনা করে? তাহলে ফুটপাতে, কলকারখানায়, রেলেস্টশনে যারা থাকে তারা কি? আমরা বৃওবান ব্যক্তিরা কি পারিনা তাদের পাশে এগিয়ে আসতে? পারিনা তাদেরে শিক্ষার পথে নিয়ে আসতে? যদি নাই পারবো তাহলে কেন আমরা বা আপনারা বড়লোক”!
আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা কিন্তু শিশু থেকে বড় হয়ে আজ এখানে!তাই আমার এই প্রতিবেদনটা তাদের প্রতি আপনারা যারা দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত আছেন বা দেশের উন্নতির জন্য বড়াই করেন, তারা তো সবার আগে শিশুর সুন্দরভাবে বাঁচার একটা পথ তৈরি করে দেয়ার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।হয়তো অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের টাকা রাখার কোন জায়গা পান না তো তার মধ্য থেকে দশজন পাঁচজন শিশুর দায়িত্ব নেন না, তাতে তো সম্পদ কমে যাচ্ছে না বরং আপনার ও দেশের উপকার হচ্ছে।এভাবে প্রতিটি প্রভাবশালী মানুষগুলো যদি শিশুর দায়িত্ব নেন তাহলে দেশ ও জাতির কী উপকার হবে তা আপনারা ও আমরা নিজেরাই সেটা বুঝতে পারবো।
গরীব হলেই গরীবের কথা মনে পড়ে”জীবন বুনে স্বপন বানাই মানব জমিনে অনেক চাষ চাই, চিলাম নিরাপদ,হইলাম সাধারণ।কোনো দিনও যেই জায়গায় খেয়াল করি নাই সেই জায়গায় চোখ পড়ল আজ।কী বোর্ডের নীচে লিখা আছে, আপনার ডিফল্ট ট্যাব।ডিফল্ট ট্যাব এতদিন ছিল সংকলিত পোস্ট।এখন সেটা বদলিয়ে করলাম ক্রমানুসারে পোস্ট।আমাদের বাড়ির মোড়ে এক ভিক্ষুক ভিক্ষা করত।একদিন দুঃখ করে বলল, এই মহল্লায় এত টাকাওয়ালা মাইনসে থাকে, কিন্তু ভিক্ষা পাওয়া যায় না।এর থেইক্যা অনেক বেশি ভিক্ষা পাওয়া যায় রেললাইনের ধারে বস্তির পাশে যেই মহল্লা আছে সেইখানে বইলে।কোথায় আছে না ! গরীবে গরীবের দুঃখ বুঝে,বড়লোক কোনো দিনও গরীবের দুঃখ বুঝতো না”আর আজও তাই।আমাদের কি মনে পড়ে না !রোজার প্রচলন ঠিক এই কারণেই।একমাস অভুক্ত থেকে।সারা বছর যারা অভুক্ত থাকে, তাদের দুঃখ কষ্ট বুঝার চেষ্টা।যাতে করে অভুক্ত ও দুঃখি মানুষের প্রতি সহমর্মী হওয়া যায়। সংযমের মাসে অভুক্ত থেকে আমারা বঞ্চিত মানুষের দুঃখ বুঝতে পারি।অভুক্ত না থেকে কখনো অভুক্ত মানুষের কষ্ট বুঝা সম্ভব না।তাহলে সেই ভিক্ষুকের কথাই টিক।
আসলেই গরীবে গরীবের দুঃখ বুঝে।ধনি মানুষ মুখে যতই দরদ দেখাক, গরীবের দুঃখ কোনোদিনও বুঝবে না।এসি গাড়িতে চড়ে গরীব মানুষের ক্ষুধার জ্বালা যেই নেতারা বুঝতে চায়,তারা ভণ্ডামি করা ছাড়া আর কিছু নয়।যেমন:সবাই বলছে রমজান মাসে জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে।কিন্তু আমাদের খাদ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেন, আশেপাশের দেশের তুলনায় আমাদের দেশে জিনিস পত্রের দাম তেমন বাড়েনি।তার মানে হলো এই,উনি ম্যাসেজ দিতেছে, আপনারা ব্যবসায়ীরা এত কম দাম বাড়ালেন কেন?ইচ্ছা করলে আরো বেশি দাম বাড়াইতে পারেন,আমি লাইসেন্স দিয়ে দিতেছি।উনি মন্ত্রী হওয়ার ফলে সাধারণ জনগণের দুঃখ দুর্দশা বুঝতে পারেন না।অতীতেও কোনো মন্ত্রী সাধারণ নাগরিকের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারেন নাই।সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে হলে আগে নিজে সাধারণ মানুষ হতে হবে।অসহায় পথচারী গরীব দুঃখি মানুষের মুখে একচিলতে হাসি ফুটিয়ে দেখুন, এক সময় এই এক চিলতে হাসি ফুটানোর কথা ভেবে, আপনি নিজেই অনেক আনন্দিত বোধ করবেন।
অসহায়দের সহায় হলেই আপনি হবেন প্রকৃত মহান মনের মানুষ”মুসলিম গোষ্ঠির সবচেয়ে আনন্দের দিনকে সামনে রেখে আজ প্রতি- শ্রুতি করুন,অন্তত একজন গরীব দুঃখি মানুষের মুখে আপনি এক চিলতে হাসি ফুটাবেন”এই অনুরোধ রইলো সবার কাছে।নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা বলেন আমরা দেশ ও এলাকার গরীব দুঃখি মানুষের উন্নয়নের কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিবেন।কিন্তু অত্যন্ত পরিতা- পের বিষয় যখন প্রার্থীরা ক্ষমতা পেয়ে যান তখন তাঁরা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন।আর গরীব দুঃখি মানুষগুলো আহাযারির যন্ত্রণায় ভোগে।আমার কথা থাকবে, আপনারা নিজেদের স্বার্থের কথা না ভেবে এলাকার উন্নয়ন ও গরীব দুঃখি মানুষ কে নিয়ে ভাবুন, চিন্তা করুন আর তবেই হবে আপনার প্রতিনিধিত্বের স্বার্থকথা।
নিউজিল্যান্ড এর অধিবাসী তাতে কী ? গরীব দুঃখি মানুষের সেবা করার জন্য বেছে নিয়েছি- লেন বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর গড়।গত পয়ত্রিশ বছর ধরে ঐ অঞ্চলের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিত্সা সেবা দিয়েছেন।মানবতার প্রতীক হয়ে ওঠা এলাকা বাসীও তাঁকে ভালোবেসে নাম দিয়েছিলেন “ডাক্তার ভাই”এই কিছুদিন আগে চুয়াত্তর বছর বয়েসে পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সেই ডা.এডরীক সাজিশন বেকার।ডা.বেকার গরীব মানুষের চিকিত্সাসেবা দেওয়ার জন্য মধুপুর গড়ে প্রতিষ্টা করেছিলেন “কাইলা কুড়ি হেল্থ কেয়ার সেন্টার।পরবর্তীতে যা হয়ে উঠে গরীব দুঃখীদের প্রযোজনীয় স্বাস্থসেবা প্রাপ্তির নিশ্চিত ঠিকানা।কিন্তু দুঃখ হয় আমাদের কারো কাছে এমন কী নেতা নেত্রীর কাছে যখন তা দেখতে পাই না।আর তাইতো ভাবছি কবে আমাদের দেশে এমন হবে।
আমার মনে হয়, আমরা সবাই যদি এমন ভালো কিছু করে যেতে পারি তবেই বোধহয় আমাদের জীবনের স্বার্থকতা।গত দশ বছরে ঘটনা দুর্ঘটনায় মোট কতজন মারা গেল তার হিসেব যেমন নেই, তেমনি ন্যায় বিচার পায়নি কোন শ্রমিকও।গরীব মানুষের কথা কে চিন্তা করে।তাদের কে নিয়ে ভাবলে তো ধনী হওয়া যাবে না।আর কেউ ধনী হবে না মানে দেশে দুর্নীতি থাকবে না, এটাই কেউ চায় না।এখন পর্যন্ত বাংলা দেশের গার্মেনটস শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রেজেডি রানা প্লাজা ধস।নয় তলা ভবন ধসে মারা যায় এগারো শো ছত্রিশ জন শ্রমিক।কিন্তু কোন বিচার হয়নি।বিচার হবে বলেও মনে হয় না।কারণ এসব ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বিচার হলে ঐসব গরীবদে রকে মারার দায়িত্ব কে নেবে ? গরীবের রক্ত না চুষলে ওরা ধনী হবে কিভাবে ?
রানা প্লাজার ঠিক পাঁচ মাস আগে আশুলিযার তাজরীন গার্মেনটস এ ভয়ঙ্কর অগ্নিকান্ডে নিহত হয়ছিল একশত বার জন (সরকারি হিসেবে) এ দুর্ঘটনার দিন থেকেই বেসরকারি ভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন এক্টিভিষ্ঠ নৃবিজ্ঞানীরা।তারা জানান, নিহতের সংখ্যাটা সঠিক নয়।তাদের হিসেবে মারা গেছেন একশত উনিশ জন।এর আগে বড় দুর্ঘটনা ছিল সাভারের স্পেকট্রাম গার্মেনটস এর ধস।যা গত দশ বছর আগে ঘটেছিল।আর তাতে অন্তত ছিয়াওর জন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন।শ্রমিক অধিকার আন্দোলন কারীদের দাবি এ সংখ্যাতেও আছে গলদ।সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই হাজার দশ সালের চৌদ ই ডিসেম্বর সাভারে হাকীম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি গার্মেনটস এ অগ্নি কান্ডে কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন কিংবা ঐ বছরের পঁচিশ ফেব্রুয়ারি সাভারে গরীব এন্ড গরীব নামের অপর একটি গার্মেনটস এ অগ্নিকান্ডে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা একুশ জনের বেশি কি না,তারও উত্তর মেলেনি।বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী উনিশ শো নব্বই সাল থেকে দুই হাজার বার সাল পর্যন্ত গার্মেন্টস শিল্পে দুইশো চৌদ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।এর মধ্যে পঁচিশ টি কারখানার তিনশত অষ্টাশি জন শ্রমিকের নির্মম মৃত্যু হয়।
যে কোনো শুক্রবার জুরাইন কবর স্থানে গেলে কাউকে না কাউকে পাওয়া যাবে, হয় কবর খুঁজছেন, না হয় যে কারোর কবর জিয়ারত করছেন স্বজন ভেবে।তাজরীন ও রানা প্লাজার ঘটনার পর জুরাইন কবর স্থান হয়ে উঠেছে অশনাক্তকৃত লাশের আশ্রয়স্থল।রানা প্লাজার ট্রাজেডিতে নিহতের মধ্যে একশত পাঁচ জনের পরিচয় এখনও মেলেনি।এই একশত পাঁচ জন লাশের পরিচয় অশনাক্ত রেখেই গত দশ এপ্রিল শেষ হয় ডি এন এ পরীক্ষা।ধসের প্রায় এক বছরে প্রাথমিকভাবে অশনাক্ত তিন শত বাইশ জনের মধ্যে দুই শত ছয় টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।এগারো টি লাশের ক্ষেত্রে দু’জনের ডি এন এ -এর মিল পাওয়া গেছে।পরিচয় শনাক্ত করা যায় নি একশত পাঁচ জনের।তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও দুর্ঘটনা দুর্যোগে মৃত ব্যক্তিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের আগে অবশ্যই ডি এন এ নমুনা সংগ্রহ করার সুপারিশ করেছে, জাতীয় ফরেন্সিক ডি এন এ প্রোপাইলিং ল্যাবরেটরি।
এক্টিভিষ্ট নৃবিজ্ঞানী নাজনীন আক্তার বলেন, আমরা কারখানা দুর্ঘটনার পর পরই বি জি এম ই এর কিছু নড়াচড়া আমাদের চোখে আসে।একের পর এক ঘোষণা পত্রিকায় দেখতে পাই।আদতে তাদের ঘোষণাগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না তার কোনও ফলোআপ নেই।একটার পর একটা দুর্ঘটনায় আগের দুর্ঘটনা চাপা পড়ে যায় বা যাচ্ছে।আইনি জটিলতায় বিচারও পাওয়া যাচ্ছে না।বিচার হয় না কারণ ক্ষমতার দাপট।ওদের একটাই অপরাধ ওরা গরীব।কিন্তু আমার জিজ্ঞাসা,ওরা গরীব হলেও তো ওরা আমাদের মতো মানুষ।অদের প্রতি এত অবহেলা ও দুরত্ব কেন?এদিকে শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু বলেন,মালিকের ক্ষমতার দাপটে বিচার পায় না গরীব শ্রমিকরা।একজন শ্রমিক ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে গিয়ে মনিটরিংকরে মামলা চালিয়ে যেতে পারে না।পরিশেষে বলব মাননীয় সরকারকে তার শ্রমিকের পক্ষে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচার প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিদায় চাইছি আমি।