আসামের শিলচর ও করিমগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩৩:৪৯,অপরাহ্ন ২২ জুন ২০২২ | সংবাদটি ৬২০ বার পঠিত
তাজ উদ্দিন, শিলচর (আসাম),২১জুন: একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে বরাক সহ কুশিয়ারা, লঙ্গাই, কাটাখাল, সিংলা ও ধলেশ্বরী নদীতে জলস্ফীতি। আসামের বরাক উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। শিলচরের একাধিক এলাকা সহ রেল শহর বদরপুরের বহু নিম্ন এলাকা এখন বন্যার কবলে।
বন্যায় ডুবে গেছে হাজার হাজার বসতবাড়ি। স্থানে স্থানে বিপদগ্রস্ত মানুষ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শিবিরগুলি পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। এছাড়া বদরপুরের বিধায়ক আব্দুল আজিজও বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তবে বিভিন্ন এলাকায় এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছয়নি। বরাক উপত্যকার বন্যা পরিস্থিতির সরাসরি প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে।
শিলচর শহরে নৌকা চলাচল করছে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানীয় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যায় বদরপুরের আলেখারগুলে ধস নেমে সড়ক বন্ধ হওয়ার ফলে দক্ষিণ বদরপুরের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আলেখারগুল, মহাকল, হাজীপুর, হাসানপুর, বছলা,লামাজুয়ার ইত্যাদি এলাকার অনেক ফিশারির বাঁধ ডুবে গেছে। ফলে এসব এলাকার মৎস্যজীবীদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্লাবিত এলাকায় এস ডি আর এফ বাহিনী এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক দল উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বন্যাক্রান্তদের উদ্ধার করে বদরপুরঘাট, শ্রীগৌরী এইচ এস স্কুল, ভাঙ্গা এইচ এস স্কুল, মর্জাৎকান্দি এইচ এস স্কুল সহ বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক আশ্রয় শিবিরেও বন্যার জল ঢুকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। করিমগঞ্জ শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা এখন জলমগ্ন। পাথারকান্দি শহরও জলের কবলে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বদরপুর ঘাটে বরাক নদীর জল ১৮.৪১ মিটার উপর দিয়ে বইছে। সেখানে বিপদসীমা ১৬.৮৫ মিটার। ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ১৮.৪৮ মিটার উপর দিয়ে জল প্রবাহিত হয়েছিল। ভয়াবহতার দিক থেকে সেই নজিরও খুব একটা দূরে নয়।