বদরপুর ও করিমগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৬:৩৭,অপরাহ্ন ২৩ জুন ২০২২ | সংবাদটি ৫৯০ বার পঠিত
তাজ উদ্দিন, শিলচর (আসাম), ২৩ জুন: আসামের
বরাক উপত্যকার শিলচর, করিমগঞ্জ সহ ছোট বড় সবগুলি শহর এবং অধিকাংশ গ্রামাঞ্চল এখন বন্যার কবলে। বুধবার বিকাল থেকে বরাক নদীর জলস্তর কমতে শুরু করলেও আজ সকাল থেকে আবার জল বাড়ছে। ফলে বদরপুর ও করিমগঞ্জে নতুন কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
শিলচর শহর চলতি শতাব্দীতে এই প্রথম এত ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো কোনও ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। এর ফলে পানীয় জলের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। চিকিৎসা পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শিলচর থেকে বদরপুর পর্যন্ত রেল লাইনের উপরেও জল উঠে গেছে। বদরপুর শহর এখনও কিছুটা নিরাপদ রয়েছে। যদিও শহরতলি এলাকা খাদিমানে বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। বুধবার ভোরে হঠাৎ খাদিমানের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে আলাকুলিপুর, দীঘিরপার, বুন্দাশীল, গড়কাপন, দেওরাইল ইত্যাদি এলাকা নতুনভাবে প্লাবিত হয়। বদরপুরের মিশন রোড সম্পূর্ণ জলের নিচে চলে যায়। বাঁধ ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে আলাকুলিপুর ও খাদিমানের যুবকদের তৎপরতায় বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
জলসম্পদ বিভাগ এবং এস ডি আর এফ বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামত করায় জলের গতি অনেকটা কমে যায়। বাঁধটি ভেঙে গেলে গোটা বদরপুর শহর জলের নিচে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে যুবকদের তৎপরতায় এ যাত্রা সবাই বেঁচে গেলেন।বদরপুরের গ্রামাঞ্চলের বন্যাক্রান্তদের সহায়তায় বেশ কিছু শিবির খোলা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ২০০০-এর বেশি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।বিভিন্ন শিবিরে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকায় বন্যার ফলে বিদ্যুৎ ও মোবাইলের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই, বিপদের সময় অনেকেই সাহায্য চেয়ে ফোন পর্যন্ত করতে পারছেন না। আজ থেকে শিলচরে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।