আসামে কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৩:৪৮,অপরাহ্ন ২৭ এপ্রিল ২০২১ | সংবাদটি ৭৫৯ বার পঠিত
তাজ উদ্দিন, শিলচর (আসাম), ২৭ এপ্রিল : চলতি মাসের শুরুতে ছিল আসামের বিধানসভা নির্বাচন। আর এজন্য ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে রাজনৈতিক প্রচার, সভা-সমাবেশে তুঙ্গে ছিল উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি। নোভেন করোনা ভাইরাস আবার যে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে দিতে পারে, সেই আশঙ্কা ছিল তখনই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! স্বয়ং রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পর্যন্ত বললেন, কীসের কোভিড, কীসের করোনা? এসব করোনা-টরোনা এখন আর নেই। আমি তো মাস্ক লাগাই না। লাগালে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়বে।
সেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এখন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সামাল দিতে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। প্রতিদিন বেশ কয়েকজন লোকের মৃত্যু ঘটছে। ১৮টি জেলায় কম করেও ১০০ জন কোভিড১৯ পজিটিভ রোগী রয়েছেন। প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত থাকা স্কুলগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতা দেখে রাজধানী গুয়াহাটিতে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে কোভিডের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। নির্বাচনী প্রচারে জনসমুদ্রের ফলে এবার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে পশ্চিমবাংলায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে।
সেই তুলনায় স্বস্তিতে আছে আসাম। পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কোভিডের ভ্যাকসিন এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। সেজন্য হাসপাতালের সামনে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের লাইন দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কে মানুষ এখন ভ্যাকসিনের খোঁজ করছে। আপাতত ৪৫ বছরের কম বয়েসিদের ভ্যাকসিন নেওয়ার সুবিধা নেই। তবে আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের উপরের মে কেউ ভ্যাকসিনের সুবিধা পাবে। সেই সময় হাসপাতালমুখী ভিড় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।